বাবার ডেড বডি নিয়ে অপেক্ষা করছে সবাই। একমাত্র রত্ন ছেলে আমেরিকায়। মস্ত ইঞ্জিনিয়ার। যেকোনো মুহূর্তে হয়তো এসে যাবেন।
খালার কাছে ফোন এল, ‘কোম্পানি গতকালই আমাকে অনেক উঁচু পদে প্রমোশন দিয়েছে। আসতে অক্ষম। যত টাকা দরকার পাশ বই থেকে মা তুলে নিক। খুব ঘটা করে যেন চল্লিশার ভোজন হয়। পরে আসব। দুঃখিত।’
মা কান্নায় ফেটে পড়েন। বলেন, ‘খোকা। তোর কাছে বস-ই সব, বাবা কিচ্ছু না? পাড়াতে ছিঃ ছিঃ পড়ে যাবে। সবাই মুখ লুকিয়ে হাসবে। তোর অন্ধ গোলামী দেখে। যে করে হোক বাবা অন্তত চল্লিশার আগের দিন আয়।’
ছেলে বলে ‘কিছু মনে কোরো না মা। দাদু যেদিন মা’রা গেলেন সেদিনও তুমি আমাকে স্কুলে পাঠিয়েছিলে জোর করে। বলেছিলে, অন্যের দিকে, কারোর দিকে না তাকিয়ে নিজের কাজ করো। এটাই উন্নতির চাবিকাঠি। তোমার শিক্ষাই তো…..।
পারিবারিকশিক্ষা