today visitors: 5073432

এবারো ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আমিই জয়ী হব || রফিকুল ইসলাম পিন্টু

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা শিল্প সমৃদ্ধ উর্বর উপজেলা হিসাবে পরিচিত বরাবরই। নৌকা তথা আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত এই উপজেলা, মুক্তিযুদ্ধের ঘাঁটি হিসাবেও পরিচিত এই উপজেলা। পাশাপাশি রাজাকারের একটি বৃহৎ গোষ্ঠী এই উপজেলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বাধীনতার পর পরই। ১৯৯৬ সালের আগ পর্যন্ত তাদের হাতেই ছিলো এই উপজেলার নেতৃত্ব। ১৯৯৬ সালে বিএনপির হাত থেকে এই আসনটি পুনঃরুদ্ধার করেন প্রয়াত সাংসদ এম আমানউল্লাহ। তারপর হতে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাতে এই আসনটি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কৈ মাছ প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন রফিকুল ইসলাম পিন্টু।

পিন্টুর এক নোটিশে ভালুকায় সব সময় লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। ইতোমধ্যে ভালুকাবাসী দেখেছে পিন্টু চাইলে যে কোন মূহুর্তে ভালুকায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল মিটিং করতে পারে। তার আছে ব্যক্তিগত ক্লিন ইমেজ। জমি দখল বা কালো টাকা এখনো তাকে স্পর্শ করতে পারে নাই। দুইবার ভাইস চেয়ারম্যান এর নির্বাচন করছে বিপুল ভোটে পাশ করেছে। সারা বাংলাদেশে ভোটের ব্যবধান দ্বিতীয় হয়েছেন।তার সাথে সাত আটজন নির্বাচন করেছেন। সবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ক্লিন ইমেজের পিন্টুকে ভালুকা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণ এবারো বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে।

রফিকুল ইসলাম পিন্টু বলেন, আমি কখনও নৌকা তথা আওয়ামী লীগের প্রশ্নে কারো সাথে কোন কম্পোমাইজ করি না। যার কারণে বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতা থাকার সময় হত্যা ও চুরির মিথ্যা মামলার দায়ে ২ বছর কারাবাস থাকতে হয়েছে। দলের প্রয়োজনে যখনই আমাকে ডাকে আমি সব সময় প্রস্তুত থাকি। বিগত উপজেলা পরিষদ, সংসদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। এটা আমার মুখের কথা নয় আপনারা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ও ভালুকায় জরিপ চালালে দেখতে পারবেন।

আসন্ন ভালুকা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম পিন্টু আরো বলেন, ভালুকার জনগণই আমার শক্তি। আর জনতার শক্তি রুখতে পারে এমন সাধ্য কারও নেই। ভালুকাবাসীর কাছ থেকে যে ভালবাসা পেয়েছি এটাই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া।

মার্কা পাওয়ার পর থেকেই পিন্টুর নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল সহ ব্যপক হারে গণসংযোগ শুরু করে দেয়। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও ভালুকা উপজেলা পরিষদের সফল ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম পিন্টু বলেন, সাধারণ মানুষ তাদের প্রিয় নেতার মার্কা পেয়ে আনন্দে উচ্ছ্বাসিত। একজন রাজনীতিবিদের সবচেয়ে বড় পাওয়া হচ্ছে জনগনের ভালবাসা পাওয়া আজ আমার মনে হচ্ছে আমি আপনাদের কাছে সেই ভালবাসা পেয়েছি। তাতে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। এর জন্য ভালুকাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।

আমি ভালুকার সন্তান। তাই সারা জীবন আপনাদের ভালবাসা ভুলতে পারব না। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন এবং পাশে থাকবেন। আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পার্থী তবে আমার নির্বাচনী সকল দায়িত্ব আপনাদের। আর তাই অতীতেও আপনারা আমার নির্বাচনের সকল দায়িত্ব পালন করেছেন সফলতার সাথে এবারো আপনারাই করবেন।

আমার ভরসা ও বিশ্বাস যাই বলুন সবই আপনারা মানে আমার প্রিয় ভালুকা উপজেলাবাসী। এবারো ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আপনারা আমাকে জয়যুক্ত করবেন ইনশাল্লাহ।