দেশের আলোচিত এবং আলোকিত মুখ স্বর্ণা

তিনি একজন নারী। রাঁধেন এবং চুলও বাঁধেন। এই সবকিছুই একজন নারীর স্বাভাবিক গতানুগতিক উপাধিমাত্র। কিন্তু সবকিছু ছাড়িয়ে একজন পরিচিত মুখ ও সফল সমাজকর্মী। শিশু ও নারীদের কথা ভাবেন, ঠিক তেমন করেই ভাবেন নিজ উপজেলা শ্রীপুরের সর্বশ্রেণির জনগণের কথা। তিনি সাহিদা আক্তার স্বর্ণা। একজন সফল নারী সমাজকর্মী। কাজ করেন দেশের জন্য, পাশাপাশি প্রতিনিয়ত দেশকে প্রমোট করেন বিশ্বের কাছে। অর্থ সম্পদ, বিত্তবৈভব না থাকলেও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা থেকে জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছাপোষণ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার স্থানীয় নির্বাচনে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নিজ এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষও তার ডাকে ব্যপক সাড়া দিচ্ছেন। সাহিদা মূলত নিজের মেধা, মননশীলতা ও কর্মনিষ্ঠায় এবং একাগ্র প্রচেষ্টার কারণে দেশের আলোচিত এবং আলোকিত মুখ।

প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে প্রতিবন্ধকতা। যে এসব প্রতিবন্ধকতা টপকে এগিয়ে যাবেন তিনিই সফল। আজ এমনই সাহসী নারীর কথা বলব যিনি শত বাধা ও প্রতিবন্ধকতা টপকে একজন সফল নারী সমাজকর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। হ্যাঁ সাহিদা আক্তার স্বর্ণার কথাই বলছি। জীবনের বেশিরভাগ সময় এলাকার গরীব, দুঃখী অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে গেছেন।

প্রতিটি নারীর সফলতার পিছনে থাকেন তিনি নিজেই। কারণ তার ইচ্ছা শক্তি এবং মনোবল তাকে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর। নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আজকের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে বহুদূর। তেমনি ভাবে নারী পরিচয়ের পাশাপাশি একজন সফল সমাজকর্মী সাহিদা।

সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং সমাজের কল্যাণে কাজের প্রসঙ্গে সাহিদা প্রথম বুলেটিনকে বলেন, ‘যে কোনো সচেতন মানুষেরই উচিত দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর কিছু কাজ করা। আল্লাহ আমাকে সামর্থ্য ও অর্থ-বিত্ত দেননি। তবুও আমি মনে করি, আমার চারপাশের অসচ্ছল অনগ্রসর মানুষদের জন্য কিছু করার প্রয়োজন। নিজের মনের প্রশান্তির জন্যই সমাজসেবা করি। যখন দেখি, আমার কিংবা আমাদের কোনো সহযোগিতার জন্য দুস্থ মানুষটির মুখে হাসি ফুটে উঠছে তখন যে কি সুখ পাই- তা ভাষায় বোঝাতে পারব না। মানুষ হিসেবে আমি কতটা সামাজিক, সমাজ-বান্ধব সেটাই আমার পরিচয় নিশ্চিত করে।’

একজন নারী সমাজকর্মী হয়ে ওঠা এবং সফলতার প্রসঙ্গে সাহিদা প্রথম বুলেটিনকে আরো বলেন, ‘অনেক ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল দেশ ও সমাজের জন্য কিছু করব। সমাজে নিজের একটি অবস্থান তৈরি করব এমন স্বপ্ন সবসময় মনের মধ্যে পুষে রাখতাম। আর এই স্বপ্নের অনুপ্রেরণা ছিলেন আমার মা। পরবর্তীতে স্বপ্নের বাস্তব রূপায়নে কার্যকর সহায়তা করেছেন আমার এলাকাবাসী। তাদের অনুপ্রেরণা ও সান্নিধ্য আমাকে অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেয়েই সমাজকর্মী হিসেবে আমার কর্ম পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারছি। এর পেছনেও বড় কারণটি হলো, উপজেলাবাসী দেখেছেন এবং উপলব্ধি করেছেন যে, আমার মাঝে কাজ করার উদ্যম আছে। দৃঢ় মনোবল আছে এবং আমি লেগে থাকতে পারি। তাছাড়া আমি শৈশব থেকে আমার পরিবার এবং দেশের জন্য কাজ করছি। কাজ করতে পারছি সাধারণ মানুষের কল্যাণে। সেদিক দিয়ে আমার বিশ্বাস শ্রীপুরবাসী আমাকে নিরাশ করবে না। তারা নিজেদের মেয়ে-বোন হিসেবে কাজের সুযোগ দিবেন।

সর্বোপরি গরীব মেহনতি মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। একজন সফল সমাজকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নারী শিক্ষার উন্নয়ন ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হয়েই সাহিদা প্রমাণ করতে চান দেশকে দেওয়ার মত এখনো অনেককিছুই বাকি আছে।