কবি আবু রায়হান মেজবাহ
বেশ্যার লাশ হবে না দাফন
এইটা সাধুর দেশ
জীবিত বেশ্যা ভোগে তো আচ্ছা মরিলেই যত দোস?
দাফন কাফন হবে না এখন
সবে করে ফোস ফোস
বেশ্যা তো ছিল খাস মাল, তোদের রাতের রানী
দিনের বেলায় ভুরু কোচ কাও?
মরিলে দেওনা পানি!
সাধু সুনামের ভেক ধরিয়া দেখালি দারুন খেলা
মুখোশ তোদের খুলবে অচিরে
আসবে তোদের বেলা।
রাতের আধারে বেশ্যার ঘর স্বর্গ তোদের কাছে
দিনের আলোতে চিননা তাহারে?
তাকাও নাকো লাজে!
চিনি চিনি ভাই সব সাধু রেই হরেক রকম সাজ
সুযোগ পেলেই দরবেশী ছেরে দেখাও উদ্দাম নাচ!
নারী আমাদের মায়ের জাতি বেশা বানালো কে?
ভদ্র সমাজে সতীর ছেলেরা খদ্দের সেজেছে?
গরীবের বৌ সস্তা জিনিস সবাই ডাকো ভাবি
সুযোগ পেলেই প্রস্তাব দাও আদিম পাপের দাবি।
স্বামী যখন মরলো ভাবির দুধের শিশু কোলে
ভদ্র দেবর সুযোগ খোঁজে সহানুভূতির ছলে,
দিনের মত দিন চলে যায় হয় না তাতে দোষ
মরা লাশের সুযোগ পেয়ে মোল্লার রোষ।
মোল্লা সাহেব নায়েবে রাসুল ফতোয়া ঝারিশা কয়
পতিতা নারীর জানাজা কবর এই এলাকায় নয়।
শুধাই আমি ওরে মোল্লা জানাযায় যত দোষ,
বেশ্যার দান নিয়াছো ঝোলিয়ে তুমি বেটা নির্দোষ?
বেশ্যার তবু আছে পাপ বোধ নিজেকে সে ভাবে দোষী
তোমরা তো বেটা দি*ন বেচে খাও হচ্ছেয় খোদার খাসি।
আল্লাহর ঘর মসজিদে ও আছে বেশ্যার দান –
কলেমা পড়েছে সে ওতো তবে নামেতে মোসলমান!
বেশানারী ব্যবসা নারী পুরুষরা পুরুষ রা সব সৎ?
জানি মোল্লা খুলবে না মুখ চাকরি যাওয়ার পথ!
আর কতকাল থাকবি অমন মুখোশ ধারীর দল
আসবো এবার মশাল নিয়ে ভাঙতে তোদের কল।
সত্যর আলো জলবে যখন চিনবে তোদের সবে
লেবাশধারী মুখোশধারী মুখোশ উপরে যাবে।
এই ভাবে আর চালাবি কত ছল চাতুরীর খেলা
আসবে তিনি,এবার তোদের বিদায় নেবার পালা।।