এস চাঙমা সত্যজিৎ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রচণ্ড তাপদাহ ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে রয়েছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষ। নির্দিষ্ট সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় শুকিয়ে গেছে পাহাড়ে প্রাকৃতিক পানির উৎস ছড়া ও ঝিরিগুলো।
এতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার পাহাড়ি উচু এলাকা চার কিলো নোয়া আদাম, প্রশিক্ষণ টিলা বাঙালী পাড়া, জীবতলী, মুসলিম ব্লক, বটতলী, তালুকদার পাড়া, সাজেক, মাচালং, বাঘাইহাট, উগলছড়িসহ পৌরসভার শতাধিক গ্রাম জুড়ে তীব্র পানির সংকটে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহে কয়েক কিলোমিটার পাহাড়ি পথ হেঁটে গিয়েও সন্ধান পাচ্ছে না এক কলশী খাবার পানি। ১৫-২০ দিনে একবার গোসল করতে পারছেন না অনেক গ্রামের মানুষ। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু ও বয়স্ক ও সাধারণ মানুষরা। পুকুর ও জলাশয়ে অবশিষ্ট পানিও দূষিত হয়ে গেছে। জীবন বাচাঁনোর তাগিদে বাধ্য হয়ে নোংরা পানিতে গোসল ও পান করে অনেকেই ডাইরিয়া, কলেরা, এলার্জিসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।
এদিকে ২০১১ সালে বাঘাইছড়ি পৌরসভার মধ্যমপাড়া ও মুসলিম ব্লক এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যায়ে প্রকল্প হাতে নিলেও ১৫ বছরে তা আলোর মুখ দেখেনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে বাঘাইছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রুশো খীসার সাথে কথা বলতে বেশ কয়েক দিন অফিসে গিয়ে না পেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল এই কর্মকতা নিয়মিত অফিস করেন না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।