নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
তীব্র দাবদাহের মাঝে পটুয়াখালীর বাউফলে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। গরমের মধ্যে বড়দের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এপ্রিল মাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনশত ৮৬ জন রোগী এখানে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে একশ ৭৪জনই ছিল শিশু।২৯ এপ্রিল বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।
দিয়ান নামের এক শিশুর মা হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, “২৮ এপ্রিল হঠাৎ করেই তার বমি,পাতলা পায়খানা বেড়ে যায়। ২৯ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে জানিয়ে চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন।”তার সঙ্গে কথা বলার কিছুক্ষণ আগেই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন মোর্শেদা বেগম নামের এক অভিভাবক।হ্যালোকে তিনি জানান, তার মেয়েও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন।
বাউফলের পাশের উপজেলা দশমিনা থেকে সন্তানকে নিয়ে এসেছেন মা সুমা বেগম। তিনি জানান, হঠাৎ করেই তার ১৫ মাস বয়সি শিশুর মধ্যে ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।
এদিকে হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। বিষয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নূর জাহান বলেন, “আমাদের ৫০ শয্যার হসপিটাল। অথচ এখানে রোগী আছে ৭৪ জনেরও বেশি। তাই, ৩০ জনের অধিক রোগীকে বারান্দায় রাখতে হয়েছে।”
এ দিকে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে কলেরার উপসর্গ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা। হ্যালোকে তিনি বলেন, “বিগত বছরগুলোর মত এবারের আক্রান্তের হার অভিন্ন। তবে এবার অনেক শিশুর মধ্যে কলেরার সিম্পটম পাওয়া গেছে।”তিনি আরও বলেন, “ডায়রিয়ার অনেকগুলো কারণ থাকে,তার মধ্যে কলেরা অন্যতম। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে।”
এই চিকিৎসক জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডায়রিয়া আক্রান্তদের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে তৎপর রয়েছে।
“এ বিষয়ে আমরা শতভাগ তৎপর। আমাদের পর্যাপ্ত স্যালাইন রয়েছে,ইনজেকশন রয়েছে। নার্স,ওয়ার্ড বয়রা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন,” যোগ করেন তিনি।