মোঃ আক্তার হোসেন, ক্রাইম রিপোর্টারঃ
সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারালেন দশম শ্রেনী পড়ুয়া সাকিবুল আহমদ তুহিন (১৮) নামের এক কিশোর এবং ছালেতুন নেছা (৫৮) নামের এক মহিলা
গত ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর বেলা দেড় ঘটিকার সময় সিলেট কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কের সিলেট জেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন খাদিমনগর ইউ/পি অন্তর্গত লালবাগ নামক স্থানে আম্বরখানাগামী সিএনজির সাথে বিপরীতদিক থেকে আসা একটি ট্রাক যাহার রেজি নং-ঢাকা মেট্রো-ট, ১৮-৫৪৩৬ এর সাথে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে নিহত হন। খোজ নিয়ে জানা যায় নিহত দুজন গোয়াইনঘাট উপজেলাধীন সালুটিকর নওয়া গাও গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উক্ত ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার সাব ইন্সপেক্টর জনাব ইব্রাহীম আলী।
ঘটনাস্থল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন উপরে উল্লেখিত ট্রাকটি অপরদিকের সিএনজি গাড়িতে থাকা ড্রাইভার সহ ৬ জন আরোহীকে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। আহত চারজনকে তৎক্ষণাত এলাকাবাসীরা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাটান, ৪ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷
প্রসঙ্গত: সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাকিবুল হাসান তুহিন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এর পেশকার জনাব শেখ মামুনূর রশীদ এর আপন চাচাতো ভাই। নিহত সাকিবুল আহমদ তুহিন এর পিতা জনাব রফিক আহমদ গত ২৯/০৩/২৪ বার্ধক্যজনিত রোগে মৃত্যুবরন করেন। এর ৫ দিন পূর্বে নিহত তুহিন এর আপন চাচা পেশকার শেখ মামুনূর রশীদ এর পিতা বার্ধক্যজনিত রোগে ইন্তেকাল করেন।
বাবা ও চাচার শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ১ মাসের মধ্যে একই বাড়িতে আরো ০২ জনের মৃত্যু হয়। এ যেন এক হৃদয়বিধারক কাহিনী।