মো:আলমগীর হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি,ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহে সানজিদা নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ (৩০ এপ্রিল) মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন করেছে সানজিদার পরিবার তথা শম্ভূগঞ্জ ও চরাঞ্চলবাসী।
ময়মনসিংহ সদরের ৩৩ নং ওয়ার্ডের শম্ভূগঞ্জ বাজার মোড়ে চরাঞ্চলবাসী ও সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যৌতুকের বলি খুরশিদা আক্তার সানজিদা নির্মম শারিরিক ও মানসিক শিকার। নিহত গৃহবধূ সানজিদা’র পিতা খোরশেদ আলম বলেন,তাঁর মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে।
পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পরিকল্পিত হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইছে। বসতঘরে ধর্ণার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে তাঁর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে তারা আমার বাড়িতে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় সানজিদার মরদেহ ধর্ণার সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছে তবে তার দুই পা ছিল ফ্লোরে লাগানো।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এটা আত্মহত্যা হতে পারে না। তা পরিকল্পিত হত্যা। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে শ্বশুর বাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল সানজিদা’.কে। দেড় বছর আগে পারিবারিক ভাবে কৃষ্ণপুরের শাহ আলম এর সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দেই।
বিয়ের পর থেকে প্রায়ই স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়ে কে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। মেয়ের সুখের জন্য তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আসছিলাম মেয়েও সব সহ্য করে সংসার করছিলেন। কিন্তু সুখ তার কপালে নেই বিধায় এমন মৃত্যু। তিনি মেয়ে হত্যার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য,ময়মনসিংহ সদরের ৩৩ নং ওয়ার্ডের শম্ভূগঞ্জ মোড়ের খোরশেদ আলম এর মেয়ে সানজিদা । গত দেড় বছর আগে কামারিয়া ইউনিয়ন এর কৃষ্ণপুর এলাকার মৃত নুরুল আমিন এর ছেলে শাহ আলম (২৫)এর সাথে বিয়ে হয় তার। দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে এই দম্পতির সিনথিয়া নুর সাউদা নামে আড়াই মাসের একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল (শুক্রবার) সকালে নিজ ঘরের ধর্ণার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে তারাকান্দা থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।