স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হলে কেন তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে?
Advertisement
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা সেটা তারা (সরকার) উপলব্ধি করে। এ সরকার মুখে বলে তারা স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি। তারা যদি স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি হতো তাহলে কেন তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, কেন তারা বাংলাদেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে? কেন তারা বাংলাদেশে বাকশাল কায়েম করেছে?
তিনি বলেন, এটাতো আমাদের কথা নয়, সারা বিশ্ব এখন এই কথাগুলো বলছে। কাজেই সরকারকে বুঝতে হবে ক্ষমতার জোরে, বুলেটের জোরে, বন্দুকের জোরে, টিয়ার গ্যাস দিয়ে গ্রেনেড মেরে হয়তো বিরোধী দলের মুখ স্তব্ধ করে রাখার প্রয়াস নেয়া যেতে পারে, কিন্তু তাদের দুর্দশা সফল হবে না।
Advertisemen
রোববার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুল মঈন খান এসব কথা বলেন।
নাশকতা ও ভাঙচুর মামলার গ্রেফতার হয়ে কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুবরণ করা বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান খান হিরার স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে যান তিনি। বিকালে গাজীপুর মহানগরের তেলীপাড়া এলাকার সাগর-সৈকত কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
ড. আব্দুল মঈন খান কারাগারে মৃত্যুবরণ করা বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান খান হিরার কবর জিয়ারত করে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মঈন খান বলেন, আজকে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি রাজনীতি করে না। আমরা চাই বাংলাদেশে মানুষের অধিকার ফিরে আসুক। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসুক। মানবাধিকার ফিরে আসুক। নারীর অধিকার ফিরে আসুক। শিশুর অধিকার ফিরে আসুক। এটাই হচ্ছে বিএনপির প্রত্যাশা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, জেলা বিএনপি সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুল আলম মাস্টার, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মোতালিব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান টিটু, কাওরাইদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমদাদ মোড়ল, মোক্তারুল করিম শামীম, সাইফুল হক মোল্লা, আবুল হোসেন প্রধানসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে গিয়েছিলেন হিরা খান। সমাবেশ থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যায় শ্রীপুর রেল স্টেশন এলাকা থেকে আটক করে শ্রীপুর থানা পুলিশ। পরে শ্রীপুর থানার নাশকতা ও ভাঙচুর মামলার আসামি হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তারপর থেকে আদালতে একাধিকবার জামিন চেয়েও পাননি তিনি। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর শুক্রবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন
শ্রীপুর