অনলাইন ডেস্ক
২৫ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
Advertisement
যুগ যুগ ধরে মানব সম্প্রদায়কে একই সঙ্গে বিমোহিত ও সন্ত্রস্ত করেছে সূর্যগ্রহণ। এটি একটি অসাধারণ মহাজাগতিক ঘটনা। প্রাচীনকালে এ ঘটনাকে দেবতাদের ক্রোধের নিদর্শন বলে মনে করা হতো। তবে আধুনিক যুগে এই মহাজাগতিক ঘটনা দেখার জন্য উদগ্রীব থাকেন জ্যোতির্বিদ ও সাধারণ মানুষ।
চলতি বছরের ৮ এপ্রিল এ রকমই একটি বিরল সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এটি ৭ দশমিক ৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে। এত দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ ৫০ বছরের মধ্যে একবার ঘটে। সর্বশেষ ১৯৭৩ সালে এ রকম দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। আগামী ৮ এপ্রিলের পর আবার ২ হাজার ১৫০ সালে এই বিরল সূর্যগ্রহণের দেখা মিলবে।
Advertisement
কক্ষপথে চাঁদ ও সূর্য একই সারিতে এসে পড়লে ঘটে সূর্যগ্রহণ। এমন পরিস্থিতিতে সূর্যের আলো সরাসরি চাঁদের গায়ে পড়ে, ফলে পৃথিবীতে চাঁদের ছায়া পড়ে। এ সময় চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে এবং এটিকে কিছুটা বড় দেখায়। সে সময় পৃথিবীর একাংশের দর্শকদের চোখে সূর্য সম্পূর্ণরূপে চাঁদের আড়ালে থাকে। ফলে এ সময় পৃথিবীর ওই অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।
সূর্যগ্রহণের স্থায়ীত্ব ও দৃশ্যমানতা পর্যবেক্ষকের ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। আগামী ৮ এপ্রিল মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হবে। অর্থাৎ এসব অঞ্চল সম্পূর্ণ অন্ধকারে ঢেকে যাবে। ফলে লাখ লাখ মানুষ এই বিরল ঘটনা উপভোগ করতে পারবে। এশিয়ার জ্যোতির্বিদেরা এ ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করতে পারবেন না। তবে লাইভ স্ট্রিমের মাধ্যমে ঘটনাটি কিছুটা হলেও উপভোগ করার ব্যবস্থা থাকবে।
এবারের সূর্যগ্রহণের আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হলো, ঘটনার সময়। সূর্যের ১১ বছরের ঘটনাচক্রের চূড়ান্ত পর্যায়ের সঙ্গে সূর্যগ্রহণটি মিলে যাবে। অর্থাৎ এ সময় সৌর ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণে আরও বেশি সৌর কলঙ্ক এবং করোনা (সূর্যের বাইরের শ্বেত অংশ) দেখা যাবে। সূর্যগ্রহণের সময় সৌর কিরণের গোলাপি আভার বৈশিষ্ট্যগুলো প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র