জাবি প্রতিনিধি
২১ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জাবির তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘুরতে আসা চার বহিরাগতকে আটকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্তরা হলেন- ৫১ ব্যাচের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের ইমরান নাজিজ ও এহসানুর রহমান রাফি এবং একই ব্যাচের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মেহেদী হাসান।
Advertisement
অপরদিকে ভুক্তভোগীরা হলেন- কৃষ্ণ, উৎপল সরকার, সোহাগ বিশ্বাস, দুর্জয় সরকার। তারা সবাই সাভারের ফোটনগর এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীদের থেকে জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাইক চালাতে শিখতে আসে তারা। এ সময় তাদের কাছে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিনা জানতে চায় অভিযুক্ত মেহেদী। পরিচয় দেওয়ার পর বহিরাগত জানতে পেরে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মেহেদী।
এরপর তার সঙ্গে তিনজন যুক্ত হয়ে ভুক্তভোগীদের অচেনা একটি মাঠে ডেকে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। সেখানে ভুক্তভোগীদের আটকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এ সময় ভুক্তভোগীদের কাছে টাকা না থাকায় বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা এনে দেয় তারা।
এছাড়া ব্লগিংয়ে ব্যবহৃত ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। এরপর তারা গেরুয়া এলাকার একটি দোকান থেকে বিকাশের টাকা উঠিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়।
ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তরা বলেন, বহিরাগত কয়েকটি ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বাজেভাবে বাইক চালাচ্ছিল ও প্রকাশ্যে মাঠে মাদকসেবন করছিল। তারা অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে ভিডিও করছিল। এ সময় আমরা তাদের ডেকে কথা বললে তারা তাদের পরিবারকে না জানানোর অনুরোধ করে এবং টাকা দিতে চায়। পরবর্তীতে এক প্রকার জোর করে টাকা এবং ক্যামেরা দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমরা ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীদের মোবাইলে থাকা জিপিএস ট্র্যাক করি এবং বিকাশের দোকান খুঁজে বের করি। এরপর দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে সমর্থ হই। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের হারানো জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির বলেন, আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের লিখিত স্টেটমেন্ট নিয়েছি। এটির প্রতিবেদন তৈরি করে ডিসিপ্লিনারি বোর্ডে পাঠানো হবে। সেখানে তদন্ত ও প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।