today visitors: 5073432

টেকনাফে বুরো হাইব্রিড ধানের সমলয়ে চাষাবাদ প্রকল্পে ১৪ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা লুটপাটের আশংকা 

 

জামাল উদ্দীন – টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।

টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কেরুনতলীও ঘিলা তলী এলাকায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প বুরো হাইব্রিড ধানের সমলয়ে চাষাবাদ  প্রকল্পের ১৪ লক্ষ ২৮ টাকা লুটপাটের আ শংকা করছেন সমিতি সংশ্লিষ্ট চাষাও কৃষকরা।

 

একটি নির্ভরযোগ্যসূত্র মতে এই প্রকল্পটি কক্সজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঘিলাতলীও কেরুনতলী এলাকার বেশ কিছু বুরোধান চাষীদের নিয়ে গঠিত।

সরেজমিনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট চাষীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে এই প্রকল্পটির আওতায় ৫০ একর/ ১২০ কানি জমি চাষাবাদের কথাছিল।

যার জন্য সরকার স্থানীয় কৃষকদের মাঝে সমবায়ী মনোভাব গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যেপ্রকল্পটি সৃষ্টি করা হয়।  উক্ত প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর ৫০ একর বা ১২০ কানি জমি চাষাবাদের বিপরীতে  ১৪ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়।

কিন্ত টেকনাফ  উপজেলা কৃষি অফিসার  মোঃ জাকিরুল ইসলাম কারসাজি করে মাত্র৭০ কানি মত জমিতে চাষাবাদ করিয়ে বরাদ্ধের টাকা গুলো যথাযথ নিয়মে কৃষক বা সংশ্লিষ্ট চাষাদের মাঝে নাদিয়ে  আত্নসাতের পথ বেচে নিয়েছে বলে আশংকা করছে সংশ্লিষ্ট চাষারা।

উক্ত প্রকল্পের সদস্যওচাষী দলিলুর রহমানেরছেলে লালমিয়া এইপ্রতিবেদক কে বলেছেন আমিএই প্রকল্পের আওতায় ২ কানি জমি চাষাবাদ করছি টেকনাফ  উপজেলা কৃষি অফিসারের পক্ষথেকে উপ সহকারী কৃষিঅফিসার সরোয়ারুলইসলাম জয় আমাদের কে কানিপ্রতি চারা রোপন থেকে শুরু করে ধান কাটা পর্যন্ত সার সহ যাবতীয় সরঞ্জামাদি  দেয়ার কথা থাকলে ও এপর্যন্ত  দিয়েছে শুধু চারা রোপন,৩০ কেজি করে তিন প্রকারের সার। বাকী পানি সেচ,কীটনাশক ব্যবহার,ধান ক্ষেত পরিস্কার সহ যাতীয় সবকিছু খরচ আমাদের চাষাদের বহন করতে হচ্ছে বলে জানান।তিনি আরো বলেছেন স্বাভাবিক অবস্থায় ১ কানি জমি চাষ করতে চাষাদের সব মিলিয়ে ধান কাটা পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা মত খরচ হয়। তার মধ্যে  আমরা এপর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছি ১ কানি জমির জন্য ৩০ কেজি ইউরিয়া সার,৩০ কেজি ডেপ সার,৩০ কেজি লাল সার, আর চারা ও চারা রোপন যার সর্বসাকূল্যে খরচ দাড়াবে আনুমানি ৫ হাজার  টাকা মত। এইভাবে আমাদের জানামতে এই প্রকল্পে জমি  চাষাবাদ হবে ৭০ কানি মত।

আমাদের চাষাদের প্রশ্ন হল এই প্রকল্পে ৭০ কানি জমি চাষ হলে তার বিপরীতে আমরা চাষারা কানি প্রতি খরচ পেয়েছি এপর্যন্ত মাত্র ৫ হাজার টাকা মত। এইভাবে ৫ হাজার টাকা ধরে ৭০ কানি জমি চাষাবাদের খরচ দাড়ায়  ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মত।এতে করে বাকী টাকাগুলো লুটপাট হওয়ার আশংকা এড়িয়ে যাবার নয়, একই অভিযোগে চাষা

ফজল করিমের ছেলে কামাল উদ্দিন,নাসিরউদ্দিন, ওমরআলীর ছেলে মনছুরআলী,জাহেদআলমের ছেলে আব্দুররহমানও আব্দুল বারীরছেলে  জাহেদ আলম সহ আরো অনেক সদস্যওচাষারাএই আশংকার কথা ব্যক্ত করেছেন এব্যাপারে,টেকনাফ  উপজেলা কৃষি অফিসার  মোঃ জাকিরুল ইসলাম বলেছেন সরকারের পক্ষ থেকে চাষাদের যে সব সহায়তা দেয়ার কথা রয়েছে তা ধান কাটা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে তাতে কেউ  লুটপাটের আশংকা করলে করার কিছু নেই।জমির বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন  জমি তো আমি পরিমাপ করিনিঐপ্রকল্পের আওতায় ৬১ জন উপকার ভোগী রয়েছে তারা পরিমাপ করে যেটা দিয়েছে সেটাই আমি জানি। উল্লেখ্য যে এই প্রকল্পের  আওতায় সরকার কৃষকদের জন্য ১৪ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়ার কথাও জানান তিনি।#####