রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা নদীর বিস্তীর্ণ চর ও বালুচর সমুহে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। নদীর বুক জুরে সবজি জাতীয় এ ফসলের ক্ষেত দেখে মন ভরিয়ে যায়। বর্তমানে চলছে চাষাবাদকৃত ক্ষেত থেকে চাষীদের কুমড়ো তোলার মহোৎসব। এবারে ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কর্পূরার চর, চর রামনিয়াসা,চর চাপরারপাড়, থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াইপিয়ার চরসহ ধু-ধু করা বালুচর সমুহের আগাম জাতের এসব মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত দেখে যেনো চোখ জুরে যায়। বর্তমানে কৃষাণ- কৃষাণিরা আবাদের সবজি বাজারজাত করার জন্য ক্ষেত থেকে উত্তোলন করছেন কমড়ো। আর সে গুলো স্থানী হাট-বাজারসহ পার্শ্ববর্তি জেলা ও উপজেলার হাট-বাজারে সরবারহ করা হচ্ছে। ফলে ক্রেতা সাধারণ নতুন সবজি হিসাবে একটু বেশী মূল্যে হলও তা ক্রয় করতে পারছেন। এসময় ক্ষেতের মধ্যে মিষ্টি কুমড়া নিতে আসা কাঁচামাল ব্যবসায়ী বেলাল ও আব্দুল মতিন জানান, বর্তমান বাজারে কুমড়ার নতুন আমদানি হওয়ায় বাজারে চাহিদা রয়েছে। তাই গতবারের তুলনায় এবারে দাম অনেকটা বেশি। কৃষক আব্দুল মালেক, হাবিবুর রহমান ও শমসের আলীর সাথে কথা হলে তারা জানান, অনাবাদী পতিত জমিতে এবার অন্য সবজির থেকে মিষ্টি কুমড়ো চাষ করে বাড়তি আয় করায় আমরা খুশি। এসব অঞ্চলের অভাবী প্রান্তিক ও বর্গাচাষীদের মাঝে প্রয়োজনীয় কৃষি পরামর্শ, প্রণোদনা, উন্নত বীজ সরবারহ করতে পারলে বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে সচেতন মহল মনে কারেন ।
এ ব্যপারে উলিপুর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, বালু ও পরিত্যক্ত ভূমিতে কি ভাবে ভাল ফসল উৎপাদন করা যাবে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
রফিকুল ইসলাম রফিক
কুড়িগ্রাম