এস চাঙমা সত্যজিৎ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলায় দুই পাহাড়ের মাঝখানে ক্রীক বাঁধ দিয়ে কৃত্রিম জলাশয় সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে মাছ চাষ শুরু করা হয়েছে। এতে লাভের মুখ দেখছেন স্থানীয় মৎস্যজীবী দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের গবাছড়ি এলাকার মাছ চাষী পান্টু চাকমা ও পশ্চিম বেতছড়ি জুরজুরি পাড়ার মাছ চাষী আবদুর রহমান।
মৎস চাষে সরকারি প্রণোদনায় ক্রীক বাঁধ প্রকল্প পরিদর্শন করেন খাগড়াছড়ি জেলা মৎস্য উপ-পরিচালক ড. আরিফ হোসেন।
দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গবাছড়ি এলাকার মাছ চাষী পান্টু চাকমা ও ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বেতছড়ির জুরজুরি পাড়ার মাছ চাষী আব্দুর রহমানের ক্রীক বাঁধ পরিদর্শন করে মাছের নমুনা ও ওজন পরীক্ষা করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে খাগড়াছড়ি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প মৎস্য অধিদপ্তর থেকে প্রত্যেক উপজেলায় ক্রীক বাঁধের মাধ্যমে মাছ চাষের জন্য পুকুর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে মাছ চাষীরা অনেক উপকৃত হয়েছে এবং ক্রীক বাঁধ দেয়া পুকুরগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক খাদ্য সৃষ্টি হয়। যার কারণে খাদ্য কম লাগে ও এতে মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায় বলে জানান তিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুকনো মৌসুমে পাহাড়ে সুপেয় পানির সংকট দেখা দেয়। তখন এ সকল ক্রীক বাঁধে জমানো পানি স্থানীয়দের চাষাবাদসহ বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন মেটাতে পারে। পাহাড়ে পতিত জমিতে ক্রীক বাঁধ নির্মাণ করে মাছ চাষের পাশাপাশি সুপেয় মিঠা পানির অভাব দূর করে এবং এ মৌসুমে ফসলি জমিতে চাষাবাদের প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে এ বাঁধ থেকে।’
পরিদর্শন করার মসয় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও মৎস্য বিভাগের আহবায়ক মিজ শতরূপা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প সহকারী পরিচালক শরৎ কুমার ত্রিপুরা, দীঘিনালা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অবর্না চাকমা, দীঘিনালা উপজেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষী মোহাম্মদ শাহজাহান।
এস চাঙমা সত্যজিৎ
স্টাফ রিপোর্টার প্রথম বুলেটিন।