today visitors: 5073432

সেবা বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ নাগরিকরা।

দিনাজপুরের হিলিতে কাউন্সিলর মারপিট

 

আজাহারুল ইসলাম আকাশ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি

 

বিচার চলাকালীন সময়ে দিনাজপুরের হিলিতে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলালকে মারধরের ঘটনায় হাকিমপুর পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা বন্ধ রেখেছে পৌরসভার সকল কাউন্সিলররা।

 

সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে তারা নাগরিক সেবা বন্ধ রেখেছেন। কাউন্সিলরকে মারধরের ঘটনায় হাকিমপুর থানায় মামলা করেছেন ওই কাউন্সিলর। এ দিকে নাগরিক

 

হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভাতে সেবা নিতে আসা মনিরা বেগম বলেন, আমি ঢাকাতে থাকি, আমার ভোটার আইডি কার্ডের জন্য কাগজে স্বাক্ষর প্রয়োজন। আমি পৌরসভাতে এসে জানতে পারলাম সকল কাউন্সিলররা কর্মবিরতিতে গেছেন। যার ফলে আমার প্রয়োজনীয় কাগজে স্বাক্ষর করাতে পারলাম না। এখন আমাকে অনেক বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমরা সাধারণ নাগরিকরা চাই তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সমাধান করে সাধারণ নাগরিকদের দ্রুত সেবা প্রদান করা হোক।

 

হাকিমপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলাল বলেন, আমি হিলি বাজারে পাবনা স্টোরের পাশে নিজস্ব অফিসে বসে বাদী-বিবাদীকে নিয়ে বিচার করছিলাম। এক পর্যায়ে বিচারের সমাধান হয়। কিন্তু বিবাদী সাবিনা ইয়াসমিন তা মেনে নেননি। পরে গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তিনি চলে যান। পরের দিন শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিবাদী ছাবিনা আক্তারসহ দক্ষিণ বাসুদেবপুর এলাকার রাকেশ, মাসুদ (পচা) হাতে লাঠিসোঁটা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অফিসে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি বিবাদীকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ১নং বিবাদী ছাবিনা ইয়াসমিন আমার শার্টের কলার ধরে আমাকে সেন্ডেল দিয়ে মারপিট করেন। এ সময় অন্যরা লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এমনকি আমার অফিসের ড্রয়ারে থাকা ৩ লাখ টাকা অসৎ উদ্দেশে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়। পরে আমি হাকিমপুর থানাতে একটি অভিযোগ দিয়েছি।

 

হাকিমপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র মিনহাজুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলাল চলতি মাসের ৭ মার্চ বাদী আবুল বাসার ও বিবাদী সাবিনা ইয়াসমিনের মধ্যে মনোমালিন্য নিয়ে হিলি বাজারের তার নিজস্ব অফিসে বিচারে বসেন। এক সময় তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিলে বিবাদী সাবিনা ইয়াসমিন বিচার না মেনে কাউন্সিলরকে জুতা এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করেন। যার কারণে সকল কাউন্সিলর নাগরিক সেবা বন্ধ রেখেছেন।

 

এ বিষয়ে হাকিমপুর থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, হাকিমপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলাল বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। খুব দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।