আকসা
পবিত্র মাহে রমজানে আল-আকসাকে ঘিরে ফিলিস্তিনিদের মনে তৈরি হয়েছে দ্বিগুণ আতঙ্ক। কেননা গাজায় যুদ্ধবিরতি না হওয়ায় সেখানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা মসজিদ পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে হামাস। কিন্তু ইসরাইলের দাবি হামাসই অঞ্চলটিতে সহিংস কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট।
প্রতিবছরই রমজানে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন লাখ লাখ মুসলিম। রমজানের আগেই চলে মসজিদ পরিষ্কারের প্রস্তুতি। মানুষের আনাগোনাও শুরু হয়। কিন্তু এ বছর আল-আকসায় আঙ্গিনাগুলোতে মানুষের যাতায়াত কম। অধিকাংশ ফিলিস্তিনিদের মনই এখন যুদ্ধের দিকে। সেখানে অবস্থানরত আয়াত নামে এক নারী জানিয়েছে, ‘মানুষ সব সময়ই রমজানের ঐতিহ্য উদ্যাপন এবং উপভোগ করতে পছন্দ করে না। এ বছর গাজায় যা ঘটছে তারা কেউই এগিয়ে আসবে না।’
আল-আকসা দিয়ে অতিক্রম করা আবু নাদের নামে ফিলিস্তিনি বলেন, ‘এই রমজানটি কঠিন হবে। গাজায় আমাদের স্বদেশিদের কথা ভাবলে আমরা কিভাবে রোজা ভাঙব এবং খাব।’ গাজার আল-আকসা মসজিদটি জর্ডান দ্বারা পরিচালিত। তবে মসজিদটির নিরাপত্তা ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত। ইহুদিদের জন্যও এই জেরুজালেম পবিত্রতম স্থান। এখানেই তাদের টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত প্রথম এবং দ্বিতীয় মন্দির অবস্থিত। উভয়পক্ষেই স্থানটিকে নিজেদের বলে দাবি করে এসেছে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। বিশেষ করে রমজান মাসে মুসলিমদের সঙ্গে ইসরাইলের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এবার গাজার যুদ্ধের ফলে উদ্বেগের মাত্রা খানিকটা বেশি।
আল-আকসা ঘিরে উত্তেজনাও বাড়ছে। ইতোমধ্যেই ইসরাইল সরকারের কট্টরপন্থিরা ফিলিস্তিনিদের মসজিদে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। রমজান উপলক্ষ্যে ৪০ দিনের গাজা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আশা ম্লান হচ্ছে। ফলে জেরুজালেম নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে।
অবশ্য ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে রোববার আবারও হামাস প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করবে মধ্যস্থতাকারীরা।
ফিলিস্তিন