নুর মোঃ খালেকুজ্জামান, গাইবান্ধা।।
প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাব এবং উপকরনসহ নানাবিধ সমস্যার কারনে গাইবান্ধায় বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈয়ারী কুঠির শিল্প।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্লাস্টিকের তৈরী জিনিস পত্রের কাছে এ শিল্পের তৈরী জিনিস মার খেতে বসেছে।এককালে গ্রামবাংলা কিংবা শহরে কুঠির শিল্পের কদর থাকলেও এখন প্রতিটি মানুষের কাছে কদর কমে যাওয়ায় অভাব অনটন নেমে এসেছে এসব শিল্পের সাথে জড়িত পরিবারে। ফলে অনেকেই আবার বাপ-দাদার এ জাত পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছে।
এক সময় বাঁশের জিনিসপত্রের কদর থাকার কারনে সদর উপজেলার দারিয়াপুর পাটনি পাড়া এলাকায় শতাধিক পরিবার এ পেশায়
ব্যস্ত ছিল। প্রতিদিন কুঠির শিল্পী পরিবারের
সাথে নারী-পুরুষ মিলে কাজ করত বাঁশ দিয়ে তৈরী বিভিন্ন উপকরন। তাদের নৈপণ্য হাতের তৈরী করা ঢোল, ডালা, কুলা, চালন,খাঁচাসহ বিভিন্ন সামগ্রী বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্ত এ শিল্পের প্রতি মানুষের আগ্রহ না থাকায় ক্রমে ক্রমে হারিয়ে যেতে বসেছে কুঠির শিল্প। তারপরও শত প্রতিকুলতার মধ্যেও অনেকে এ পেশাকে আঁকড়ে রেখেছে গাইবান্ধার সদর উপজেলার দারিয়াপুরের পাটনি পাড়া এলাকার এ শিল্পীরা।
পাটনি পাড়ার চিত্ত রঞ্জন দাশ(৪২) জানান,
আগে সল্প মূল্যে বাঁশ পাওয়া যেত।এখন সেই বাঁশের অনেক দাম।”দারিয়াপুরের দীপসী রানী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বর্তমানে বাঁশের দাম চড়া। তাই বাঁশের তৈরী ঢোল, কুলা, চালন ইত্যাদি তৈরী করতে প্রায় প্রকার ভেদে দেড় শত টাকা খরচ পড়ে। কিন্তু বাজারে তার সঠিক মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। পাশা-পাশি প্লাস্টিকের তৈরী জিনিস পত্রের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কুঠির শিল্পের চাহিদা ক্রমে ক্রমে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে।”
এসব পরিবারের দাবি গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য টিকে রাখতে হলে সরকারকে ক্ষুদ্র ঋণ ও আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষন এবং কারিগরি সহায়তার একান্ত প্রয়োজন।