স্টাফ রিপোর্টার রেজাউল করিম জোয়াদ্দার
শেরপুর ৩ ঝিনাইগাতী নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেছে গজনী অবকাশ কেন্দ্রে। দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে ঢেলে সাজানো হয়েছে ময়মনসিংহের অন্যতম জনপ্রিয় এই পর্যটন কেন্দ্রটিকে।
দেশের উত্তর সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুর। গারো পাহাড়ের পাদদেশে এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কোল ঘেঁষে নদ-নদী আর পাহাড়ি সৌন্দর্যে ভরপুর এ জেলা। জেলার বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে গারো পাহাড়ের বিস্তৃতি। ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নে ২৭০ বিঘা জমির উপর অবস্থিত গজনী অবকাশ কেন্দ্র। এটি শেরপুর জেলা তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগ ও উত্তরাঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।
ধাপে ধাপে পর্যটন কেন্দ্রটিতে নির্মাণ করা হয় দৃষ্টিনন্দন মৎস্যকন্যা (জলপরী), ডাইনোসরের প্রতিকৃতি, ড্রাগন, দণ্ডায়মান জিরাফ, পদ্ম সিঁড়ি, লেকভিউ পেন্টাগন, পাতালপুরী, হাতির প্রতিকৃতি, স্মৃতিসৌধ, গারো মা ভিলেজ, ওয়াচ টাওয়ার ইত্যাদি
এছাড়া সারি সারি শালগজারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ, উঁচুনিচু পাহাড়, ঝরনা, লেক, পাহাড়ের চূড়ায় ছবির মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (আদিবাসী) সম্প্রদায়ের আবাস।
পাহাড়ের বুকজুড়ে তৈরি হয়েছে সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে। পায়ে হেঁটে পাহাড়ের স্পর্শ নিয়ে লেকের পাড় ধরে হেঁটে যাওয়া যায় এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। অবকাশ কেন্দ্রে রয়েছে কৃত্রিম জলপ্রপাত। তার নিচে পাহাড় ঘেঁষে পাথরে বসে আড্ডা আর ওয়াকওয়ের পাশে লেকের ধারে তৈরি হচ্ছে মিনি কফিশপ। চিড়িয়াখানায় যুক্ত হয়েছে নতুন করে প্রায় ৪০ প্রজাতির প্রাণী। নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেছে গারো মা ভিলেজেও। মাশরুম ছাতার নিচে বসে বা পাখি আকৃতির বেঞ্চে বসে সহজেই উপভোগ করা যায় পাহাড়ের ঢালে আদিবাসী জনপদের জীবনযাত্রাসহ দিগন্তজোড়া সবুজের সমারোহ।
প্রবেশপথের পাশেই ১ নং লেকের ওপর দিয়ে বসানো হয়েছে আকর্ষণীয় জিপলাইন রাইড। তার একটু সামনে কৃত্রিম জলপ্রপাতের ওপর বসানো হয়েছে ক্যাবল কার। কারটিতে উঠে পুরো পরিবার একসঙ্গে যাওয়া যাচ্ছে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। ক্যাবল কারে চড়ে ওপর থেকে পাহাড় ও লেকের সৌন্দর্য একসঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। পড়ন্ত বিকেলে ছোট ছোট নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানো যাবে লেকটি। সেইসঙ্গে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে হেঁটে পার হবার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত ব্রিজ।