মোহাম্মদ আরমান চৌধুরী
ইউ এ ই প্রতিনিধি (দুবাই)
সম্প্রতি আবুধাবিভিত্তিক বিনিয়োগকারী সংস্থা এডিকিউ মিসরের পর্যটন খাতের উন্নতির জন্য প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। এডিকিউ মিসরের রাস এল-হিকমায় সরাসরি ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে, যা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় বৃহত্তম অঞ্চলটি একটি উন্নত শহরে পরিণত করবে। অ্যারাবিয়ান বিজনেস।
এ বিনিয়োগের অংশ হিসেবে, এডিকিউ ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার আমানত হিসেবে রাখবে, যা মিসরজুড়ে প্রধান প্রকল্পগুলোয় বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা হবে মিসরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়তার জন্য।
রাস এল-হিকমা মিসরের একটি উপকূলীয় অঞ্চল, যা কায়রো শহর থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।
উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রাস এল-হিকমার মধ্য দিয়ে মিসরের অর্থনৈতিক ও পর্যটন বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে শক্তিশালী করার জন্য বিশ্বমানের অবকাঠামো দিয়ে সজ্জিত এবং পর্যটকদের ছুটির প্রথম গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতেই আবুধাবির সংস্থাটি সহায়তা করবে। ভূমধ্যসাগরবেষ্টিত মুক্ত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। মিসরীয় সরকার রাস এল-হিকমা উন্নয়নে ৩৫ শতাংশ বিনিয়োগে অংশীদারত্ব বজায় রাখবেন।
রাস এল-হিকমা অঞ্চলটি ১৭ কোটি বর্গ মিটারের বেশি বিস্তৃত। এটি আধুনিক প্রজন্মের শহর হবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এতে প্রধানত পর্যটন সুবিধা, একটি মুক্ত অঞ্চল ও একটি বিনিয়োগ অঞ্চলের সমন্বয়ে, আবাসিক, বাণিজ্যিক এবং বিনোদনমূলক স্থানগুলোর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ বজায় রাখবে। এডিকিউ মিসরের পর্যটনে উন্নয়ন ও বিনিয়োগ পরিকল্পনায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মিসরীয় ও আর্ন্তজাতিক অংশীদার হিসেবে সুবিধা গ্রহণ করতে চায়।
২০২৫ সালের প্রথম দিকে প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এডিকিউয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসান আল সুওয়াইদি জানিয়েছেন, এডিকিউ মিসরে একটি দীর্ঘস্থায়ী বিনিয়োগ অংশীদার এবং বিনিয়োগ কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থানে থেকে মিসরীয় অর্থনীতিকে উপকৃত করার সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করবে।
এ বিনিয়োগে রাস এল-হিকমাকে মিসরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় উপকূলীয় গন্তব্যগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এডকিউ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি রাস এল-হিকমাকে পর্যটকদের প্রথম পছন্দনীয় স্থানে পরিণত করতে পারলে মিসরের অর্থনীতি আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।