today visitors: 5073432

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মরত চুক্তিভিত্তিক লাইনক্রু গণের বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়ে ৩য় দফায় জাতীয় মানবা‌ধিকার কমিশনের চিঠি

 

নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা অব্যাহত রাখতে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ স‌মি‌তিতে হাজারো চুক্তিভিত্তিক লাইনক্রু নিয়োজিত আছেন। তাদের নিরলস পরিশ্রম ছাড়া বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ অসম্ভব প্রায়। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতায় ২০১৯ সালে সর্বপ্রথম এ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে, দফায় দফায় নিয়োগ প্রাপ্ত লাইনক্রুর সংখ্যা প্রায় ৪৫০০ জন। ইতিপূর্বে একই পদে নিয়মিত লাইনম্যান গণ কর্মরত থাকলেও, পাহাড় সমপরিমাণ বৈষম্য সৃষ্টি করে একই শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন মেধাবী শিক্ষার্থীদের চুক্তিভিত্তিক লাইনক্রু পদে নিয়োগ করা হয়।

 

ঝুকিপূর্ণ কাজ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক লাইনক্রু পঙ্গুত্ব বরণ করেন এবং ১৫জন লাইনক্রু মৃত্যু বরণ করেন। চুক্তিভিত্তিক পদে চাকুরী করায় তা‌দের মৃত‌্যু ও পঙ্গুত্ব নি‌য়ে কর্তৃপক্ষ কোনরকম দায়ভার গ্রহণ করে না এবং বেতন-বোনাস সহ বিভিন্ন ভাবে তাদেরকে চরম বৈষম্যের স্বীকার হতে হয়।

 

চুক্তি থেকে মুক্তি চেয়ে যৌক্তিক দাবি চাকুরী নিয়মিত করণের লক্ষে, গত ১৩আগস্ট’২০২৩ থেকে ১৯আগস্ট’২০২৩ পর্যন্ত ঢাকার খিলখেত, বিআরইবির কার্যালয়ের সাম‌নে লাইনক্রু গন কর্ম‌বির‌তি দি‌য়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন ক‌রে। শেষ মুহূর্তে বিআরইবি বো‌র্ডের চেয়ারম‌্যা‌ন মহোদয়ের সা‌থে লাইনক্রু গনের ২০০জন প্রতি‌নি‌ধি নি‌য়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন এবং তাদের নিয়‌মিত কর‌বে বলে আশ্বাস দেন। নিয়মিত করণ প্রক্রিয়ায় ৬ মাসের মত সময় লাগবে বলে চেয়ারম্যান মহোদয় জানায় এবং লাইনক্রু গনকে কর্মস্থলে ফিরে যেতে আহ্বান করলে তারা কর্মস্হ‌লে ফি‌রে যায়।

 

পরবর্তীতে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে নাম মাত্র সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিয়ে বিআরইবি একটি দপ্তরাদেশ করেন। তদের এরকম উপহাস মুলক দপ্তারা‌দেশ প্রত‌্যাহার ক‌রে *লাইনক্রু লেভেল-১ অধিকার পরিষদ* চি‌ঠি প্রেরণ করে এবং চাকুরী নিয়মিত করণ না হলে আগামী দিনে কর্মবিরতি সহ কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানায়। এতে করে দেশের বিদ্যুৎ সেবা ব্যহত হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে বলে উক্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

 

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অফিস আদেশের মাধ্যমে ২০/০৮/২৩খ্রিঃ, ০২/০১/২৪খ্রিঃ এবং ২০/০২/২৪খ্রিঃ তারিখে, অভিযোগ নং-ঢা.১৬৭/২৩ প্রেক্ষিতে লাইনক্রু গনের বৈষম্য বিষয়ে প্রতিবেদন জানতে চাইলেও বিআরইবি কর্তৃপক্ষ কোন রকম প্রতিবেদন পাঠায়নি। এতে করে দেশের সকল লাইনক্রু গন ক্ষিপ্ত হচ্ছে এবং পুনরায় কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের প্রস্তুতি নিতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানায়।