জেলা পুলিশের সুযোগ্য অভিবাবক মানবিক পুলিশ সুপার জনাব আক্তার হোসেন, বিপিএম-সেবা মহোদয় অত্র জেলায় যোগদানের পর মহোদয়ের নির্দেশে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ অপরাধ দমন, আসামী গ্রেফতার ও জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তাছাড়াও বিচক্ষণ পুলিশ সুপার জনাব আক্তার হোসেন, বিপিএম-সেবা মহোদয়ের নেতৃত্বে জেলায় সংঘটিত সংঘবদ্ধ অপরাধ, খুন, ধর্ষণ, পরোয়ানাভূক্ত সাজাপ্রাপ্ত ও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে জেলা পুলিশ, হবিগঞ্জ সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
নবীগঞ্জ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নবীগঞ্জ থানার ডাকাতি মামলা নং-০১(০২)২৪ এর ঘটনায় জড়িত আসামী আজমান@ রিপন (২৬) পিতা-আব্দুর রহিম, সাং-ভুলকোট, থানা-বাহুবল, জেলা-হবিগঞ্জ-কে ২৮/০২/২০২৪খ্রি. তারিখ রাত ০৮:৩০ ঘটিকার সময় হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানাধীন মিরপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত আসামীর দেওয়া তথ্যমতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার, যাহার রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্রো-গ-১৪-২৪৮৭ বাহুবল থানাধীন মিরপুর এলাকা হতে উদ্ধার করা হয়। উক্ত আসামীকে ২৯/০২/২০২৪খ্রি. তারিখ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামী ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ডাকাতির ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লখ্যে যে, গত-২৪ জানুয়ারি ২০২৪খ্রি. তারিখ রাত্রিবেলা সিলেট জেলার কানাইঘাট থানাধীন মোঃ আব্দুল আজিজ সৌদি আরব হতে বিমানে ঢাকায় নেমে ঢাকা এয়ারপোর্ট হতে একটি মাইক্রো গাড়ী ভাড়া করে তার নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথমিধ্যে রাত অনুমান ০২:৩০ ঘটিকার সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নবীগঞ্জ থানাধীন পানিউমদা এলাকায় একটি প্রাইভেটকার গাড়ী করে ডাকাত দল উক্ত মাইক্রোগাড়ীটি রাস্তায় গতিরোধ করে বিদেশ ফেরত যাত্রী ও তার আত্মীয়দের গাড়ীতে জিম্মি করে ও হাত-মুখ বেঁধে নগদ টাকা, র্স্বণালংকার, মোবাইল ফোন, কম্বল, লাগেজ ভর্তি কাপড়, কসমেটিকস লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় প্রবাসী আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং বিশ্বস্ত সোর্সের মাধ্যমে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।