তুমি চাইলে এক রাত আমার সাথে কাটাতে পারো কেনো তুমি আমার বয় ফ্রেন্ড আর তুমি যদি চাও আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে আমি তাতেও রাজি কেনো না আমি তোমায় ভালোবাসি ( মায়া)
ছিঃ মায়া তুমি এসব কী বলছো আমি কখনো তোমায় ছুয়েও দেখি নি তুমি বলছো আমি তোমার সাথে রাত কাটাবো শারীরিক সম্পর্ক করবো এটা তুমি ভাবতে পারলে ( স্বপ্নীল )
মায়াঃ হ্যা কেনো না আজ কাল রিলেশন গুলো তো এমনি যদি গাল ফ্রেন্ড বয় ফ্রেন্ড এর সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত না হয় তাহলে সেই রিলেশন টা টিকেই না...
স্বপ্নীলঃ কিন্তু আমি তো তোমায় কখনো আমার সাথে রুম ডেট করতে বলি নি তাহলে তুমি কীসের ভিত্তিতে এসব কথা বলছো...
মায়াঃ মনে মনে ভাবতেও তো পারো বলে ফেললাম...
আর তুমি যানো কী আমার ঠিক তোমার এই গুনটাই অনেক ভালো লাগে যার ফলে এতো টা তোমায় ভালোবাসি...
স্বপ্নীলঃ আজ থেকে এসব কথা কথা ভুলেও মুখে আনবে না প্রোমিশ করো...
মায়াঃ এই তোমায় ছুয়ে প্রোমিশ করলাম এই কথা কখনো বলবো না এখন একটা ইয়ে দাও😇...
স্বপ্নীলঃ উম্মাহ 😘😘 লক্ষিটা আমার...
এখন আমি আসি অফিসের জন্য লেট হয়ে যাচ্ছে...
মায়াঃ আচ্ছা সাবাধানে যেও আর পৌঁছে আমায় কল দিও...
ওকে বাই...
বাই ।
আরে পরিচয় টাই তো দেওয়া হলো না
আমি স্বপ্নীল আর ও হলো আমার গাল ফ্রেন্ড মায়া। খুব ভালোবাসি পাগলীটাকে আমি ওর জন্য সব কিছুই করতে পারি এতটাই ভালোবাসি ওকে আর মায়া ও আমাকে খুব ভালো আমাদের রিলেশন টার ২ বছর পুর্ণ হয়েছে...
স্বপ্নীলঃ অফিসে এসে মায়াকে এসে একটা কল দিলাম তখনি রুমে আমার ম্যানেজার আসলো...
ম্যানেজারঃ স্যার আসবো..
স্বপ্নীলঃ আরে আকাশ যে আসো আসো..
তা কী ভেবে আসা হলো আজকে...
আকাশঃ স্যার আগামী মাসের ১ তারিখ আমার বিয়ে ইনভাইট করতে আসলাম..
স্বপ্নীলঃ invition এর কার্ড টা দিয়ে...
আকাশঃ স্যার আপনাকে কিন্তু আসতেই হবে...
স্যার ম্যাডাম কে নিয়ে কিন্তু অবশ্যই আসবেন...
স্বপ্নীলঃ ধুর পাগল আমার কী মায়ার সাথে বিয়ে হয়েছে ও না গেলেও আমি যাবো শিওর...
আকাশঃ স্যার আরেকটা কথা বলবো..
স্বপ্নীলঃ হুম বলো...
আকাশঃ স্যার ১ তারিখ আসতে তো ১৭ দিন বাকি যদি ১ মাস ছুটি দিতেন খুব উপকার হতো...
স্বপ্নীলঃ ওকে দিয়ে দিলাম( বিয়ে বলে কথা হয়তো পরিবারের সাথে সময় কাটাতে চায় তাই দিয়ে দিলাম)
অফিস শেষ করে বাসায় গিয়ে মায়ার সাথে মেসেজিং করতে লাগলাম এমনি সময়..
মায়াঃ আচ্ছা আমি কয়েক টা দিন খুব বিজি থাকবো এই কয়েকটা দিন প্লিজ কল দিও না..
স্বপ্নীলঃ আমি তোমার সাথে এক মিনিট কথা না বলে থাকতে পারবো আর তুমি বলছো কয়েক দিন তা কত দিন শুনি..
মায়াঃ এই ধরো বিশ দিন এর মতো...
স্বপ্নীলঃ কিহ বিশ দিন . আমি তো মনে হয় মরেই যাবো..
মায়াঃ আমার জন্য এত টুকু করতে পারবে না
স্বপ্নীলঃ আচ্ছা...
বুকে মাঝে কষ্টা চাপা দিয়ে ১৯ টা দিন সহ্য করছি আর পারছি না কাল আকাশের বিয়ে সেখানেও যেতে হবে না এবার মায়ার সাথে কথা না বললে মরেই যাবো...
পরে দিন বিকাল বেলা আকাশের বিয়ে তে বর যাএী যাওয়ার সময় মায়াকে ফোন করলাম...
স্বপ্নীলঃ হ্যালো মায়া...।
মায়াঃ হুম বলো জানু আজ বুঝি মনে পড়লো...
স্বপ্নীলঃ তুমিই তো মানা করেছিলে তা কী করছো এখন..
মায়াঃ তোমার কথাই ভাবছিলাম..
স্বপ্নীলঃ তবুও তো একবার ফোন দিলে না..
মায়াঃ দিতে যাচ্ছিলাম ওমনি তো তুমি ফোন দিয়ে দিলে আচ্ছা তুমি কী করতেছো..
স্বপ্নীলঃ এক জায়গায় যাচ্ছি,...
মায়াঃ একটা কথা ছিলো রাগ করবা কী...
স্বপ্নীলঃ আরে না বলো...
মায়াঃ আমি তোমাকে আসলে কখনো দিন ভা..........
স্বপ্নীলঃ হ্যালো মায়া ফোনটা কেটে গেলো এর পর হাজার বার কল করে ফেললাম নাম্বার টা বন্ধ দেখাচ্ছে...
কী হলো কী বলতে চাচ্ছিলো মায়া...
।
এই দিকে আকাশ আমাকে এসে গাড়িতে উঠিয়ে দিলো...
।
বার বার মায়ার কথাই মাথায় ঘুরছিলো আকাশের শুশুর বাড়িতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বসে পড়লাম এখনো বউকে দেখা হলো তখনি কাজি এসে বিয়ে পড়াতে লাগলো ভাবলাম এই সুযোগে গিয়ে দেখি আসি তখনি কাজি বললো আমাকে নাকি সাক্ষী দিতে হবে তাই আর যাওয়া হলো না..
।
তাছাড়া আাকাশের বউকে তো আমরাই নিয়ে যাবো বাসায় গিয়ে দেখবো...
ওদিকে কাজি মেয়ের কাছ থেকে সাইন করে নিয়ে আকাশ এর কাছে সাইন করে নিলো আমিও সাক্ষী দিয়ে দিলাম আকাশ এর বিয়েটা সম্পুর্ণ হলো এবারে বিদাই এর পালা ওদের দুজনকে পাশা পাশি দুটো চেয়ারে বসানো হলো কিন্তু মেয়েকে এখনো নিয়ে আসে নি...
এর পরেই আকাশের বউকে নিয়ে আসা হলো তার পর মেয়েটাকে চেয়ারটাতে বসিয়ে ঘোমাটা তুলতেই...
#স্বপ্নীল মোঃ মোস্তফা কামাল