মাধবপুর(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
হবিগব্জের মাধবপুরে স্থানীয় এক তরুন সাংবাদিককে রাস্তার উপরে ফেইসবুকে লাইভ দিয়ে মানহানির ঘটনায় আদালত থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউপির কমলপুর গ্রামে।স্থানীয় ঐ সাংবাদিক হবিগঞ্জের দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও একজন ইউটিউবার।
সূত্র জানায়,ওই সাংবাদিক বিগত ২৮ জানুয়ারি মালিকানার রাস্তায় সীমানা পিলার দেখে সেই পিলার উঠানোর নির্দেশ দিয়ে ফেইসবুকে উত্তেজনাকর লাইভ প্রদান করেন।ওই লাইভ ভিডিওটি ব্যাপক দর্শকভিও পায় ।ওই সাংবাদিক লাইভে বলে,মাহবুব আলী,হেলাল বেলাল ও রহম আলীর দিন শেষ এখন ব্যারিস্টার সুমনের (নবনির্বাচিত হবিগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য) দিন। ইউএনও -ওসি স্যার উপজেলা মিটিংয়ে এ ধরনের রাস্তা বন্ধ করার নির্দেশনা দেন নি। "আয় ভাতিজার পুতেরা সব গুলারে সাইজ করে ফেলবো"।
এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফুর রহমানের পুত্র তাহমিদুর রহমান পান্না বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নির্বাহী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে ওই আদালত সাংবাদিক শাহ আলম হৃদয়সহ আরো ৬ জনকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।
তাহমিদুর রহমান পান্না জানান,ওই সাংবাদিক প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে ভিন্ন লাইনে এলোমেলো বক্তব্যের মাধ্যমে আমাদের মানহানি করেছেন। আমি থানায়ও অভিযোগ দায়ের করেছি। যা এসআই ফজলুর রহমান তদন্ত করছেন। সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা বেড়ে গিয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত সাংবাদিক শাহ আলম হৃদয় সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে,ওই লাইভ ভিডিও আমার ফেসবুক আইডি থেকে আপলোড হয়নি। অন্যরা দিয়েছেন তাদের ধরেন।ভুল মানুষেরই হয় আমার কথার উদ্দেশ্য খারাপ ছিল না।আমিতো গৃহবন্দী কিছু মানুষের রাস্তার পক্ষে কথা বলেছিলাম।ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা এটি সমাধানের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এরশাদ আলী বলেন,শাহ আলম হৃদয় বয়সে অত্যন্ত কম সকলের আদরের ।ফেইসবুক লাইভে এসে যে কথাগুলো বলেছেন তা ঠিক করে নি।তবে এ বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় মীমাংসা করে দেব।