আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের তোপের মুখে জান্তা সরকার। বিশেষ করে রাখাইনে শক্তিশালী অবস্থানে আরাকান আর্মি। প্রতিনিয়ত সেনা ঘাঁটি দখলে নেয়ার দাবি করছে গোষ্ঠীটি। প্রশ্ন উঠছে জান্তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এতো অস্ত্র ও গোলাবারুদ কোথায় পাচ্ছে আরাকান আর্মি। তাদেরকে অর্থায়নই বা করছে কারা?
মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে বিদ্রোহীদের। যে তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নাম ঘুরে ফিরে আসছে তার একটি হচ্ছে আরাকান আর্মি। রাখাইনে প্রতিনিয়ত প্রভাব বাড়ছে বিদ্রোহী এ গোষ্ঠীটির। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ অঞ্চলে আরাকান আর্মির কর্তৃত্ব যত বাড়বে, ভূরাজনীতি তত বেশি জটিল হবার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, আরাকান আর্মি কারা? জান্তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে এতো গোলাবারুদ কোথায় পাচ্ছে গোষ্ঠিটি বা তাদের পেছন থেকে মদদ দিচ্ছে কোন দেশ.? বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, আরাকান আর্মি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যার পুরানো নাম হারাকাহ আল-ইয়াকিন। অবশ্য আরাকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান গঠিত হয় ২০০৯ সালে।
আরাকান আর্মি শুধু রাখাইনেই নয় অন্যান্য রাজ্যেও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশটিতে এ মুহূর্তে বহু বিদ্রোহী গোষ্ঠী গড়ে ওঠেছে। যেগুলো বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এরমধ্যে বড় কয়েকটি গোষ্ঠীহলো আরাকান আর্মি কাইন স্টেট, আরাকান লিবারেশন আর্মি, আরাকান রোহিঙ্গা ইসলামিক ফ্রন্ট, কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি ও কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি।
জান্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে আরাকান আর্মি। বিদ্রোহী গোষ্ঠিটির বেশিরভাগ অস্ত্র ও গোলাবারুদের জোগানদাতা হিসেবে পরিচিত কাচিন ইন্ডিপেন্ডেনস আর্মি ও তাদের মিত্র ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি। এসব অস্ত্র-গোলাবারুদ কেনা হয় কালোবাজারিদের কাছ থেকে।
সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাকান আর্মি বেশিরভাগ অস্ত্র পাচ্ছে চীন থেকে। একইসঙ্গে চীন আরাকান আর্মিকে ৯৫ শতাংশ অর্থায়ন করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আরাকান আর্মির প্রতি ভারতের কোন সমর্থন নেই। তবে তাদের প্রতি চীনের সমর্থন আছে বলে মনে করেন তারা। এর কারণ হলো, রাখাইন রাজ্যে চীনের গভীর সমুদ্র বন্দর ও গ্যাস পাইপলাইনসহ বড় অংকের বিনিয়োগ।