আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফাহতে রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আকাশ ও সমুদ্র পথে চালানো হামলায় শহরটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭ ফিলিস্তিনি। সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে, হামলার সময় রাফাহর একটি বাড়ি থেকে দুই পণবন্দিকে উদ্ধারের দাবি করছে ইসরায়েলি বাহিনী।
রাফাহ বাদেও অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে স্থল অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। এ সময় শহর দুটি থেকে ২৭ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা বলছে, আটক করা ফিলিস্তিনির সংখ্যা অর্ধশতাধিক।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অনবরত হামলায় ২৮ হাজার ৩৪০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছে ১৬৪ জন। এ ছাড়া ২০০ নতুন আহতসহ মোট আহত হয়েছে প্রায় ৬৮ হাজার। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেন, নতুন হামলায় শুধুমাত্র রাফাহতে ৬৭ জন নিহত হয়েছে। তবে, এর আগে নিহতের সংখ্যা ৪৮ এর কথা জানিয়েছিলেন এই মুখপাত্র।
রাফাহতে হামলার নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাস্তুচ্যুত মানুষের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা চালাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, ইসরায়েল বেসামরিকদের লক্ষ্য করছে এবং রাফাহতে যুদ্ধ স্থানান্তরের চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের বোমাবর্ষণ বেসামরিকদের ফের বাস্তুচ্যুত হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়।
এদিকে, লেবাননেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। দেশটির সংবাদ সংস্থার দেওয়া তথ্যমতে, সীমান্তবর্তী শহর শিহিনে যুদ্ধবিমান দিয়ে এই হামলা চালানো হয়। এতে নিহত না হলেও আহতের সংখ্যা অনেক।
অন্যদিকে, নতুন যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড গর্ভমেন্টস সামিটের ফাঁকে তিনি বলেন, চিকিৎসা সরবরাহের ক্ষেত্রে গাজাকে এ পর্যন্ত যে সহায়তা দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।