এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বই প্রকাশ নিয়ে চলছে তোলপাড়। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা দম্পতি।
মুশতাক-তিশা দম্পতির প্রকাশিত বইকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় যেন থামছেই না। এমনকি বই মেলায় গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন এই দম্পতি।
যখন মুশতাক-তিশা দম্পতি আলোচনার তুঙ্গে, তখন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেলেন, ‘দুইটা প্রকাশনী আমাকে খুব কনভিন্স করার চেষ্টা করেছিল, আমাকে নিয়ে বই বের করতে চায়। কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি।’
অভিনেতা বলেন,
প্রকাশনীগুলো চেয়েছিল আমার নামে বই বের করবে। কিন্তু তাতে রাজি হইনি আমি। তাদের সরাসরি জানিয়েছি, এসব আমার জন্য না। কেননা, আমি লেখক নই। আমি একজন অভিনেতা। এ জন্য অভিনয়টাই মনে-প্রাণে করতে চাই।
এরপর মুশতাক-তিশা দম্পতির প্রসঙ্গ টেনে এ অভিনেতা বলেন, আমার মনে হয় এই দম্পতির বেলাতেও এমনটা হয়েছে। শুধু খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও তিশা দম্পতির সমালোচনা করলে হবে না। খোঁজ নিয়ে দেখেন তাদের বই প্রকাশ করেছে কারা। তারাও তো দোষী। কেননা, কেউ ভাইরাল হলেই তার বাড়ি বাড়ি চলে যায় প্রকাশনী। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বই প্রকাশ করেন তাদের।
অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন অদ্ভুত এক ভালোলাগা নিয়ে বই মেলায় যেতাম। বই কিনতাম। লেখকদের সঙ্গে দেখা হলে কী যে ভালো লাগতো। তাদের অটোগ্রাফ নিতাম। অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করতো। আর এখন যারা ভাইরাল, তাদের বই বের হয়। বিষয়গুলো থেকে প্রজন্ম কী শিখবে?’
তার মতে, বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে এইসব মৌসুমী প্রকাশনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তারা ব্যবসাটাকেই বড় করে দেখে। অন্যকিছু ভাবে না।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ওই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করেন। দুজনের মধ্যকার বয়সের পার্থক্যের কারণে মুহূর্তেই বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। তারা জানান, একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।