নিজস্ব প্রতিনিধি :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের হাসিমুখের ছবি সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নেটিজেনরা বলছেন, অনেক দিন বাদে তার এমন দিলখোলা হাসি দেখা গেল।
তবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বেশ সরব ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। গণতন্ত্রের সবক দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে খোলামেলা কথা বলে সমালোচিতও হন তিনি। সে সময় নিয়মিতই তার হাসিমুখ গণমাধ্যমে দেখা যেত। নির্বাচনের পর কিছুদিন আড়ালে চলে গেলেও সম্প্রতি নতুন করে সরব হয়েছেন তিনি।
বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকের আগে পরে বেশ ‘টাইট’ মুডে দেখা গেছে তাকে। মুখে ছিল না চিরচেনা হাসিও।
তবে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বারিধারায় মার্কিন দূতাবাসের কার্যালয়ে যান ড. আব্দুল মঈন খান। পিটার হাসের সঙ্গে সোয়া ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিকেল ৪টায় বের হয়ে আসেন তিনি।
পরে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজ থেকে পিটার হাস ও মঈন খানের হাস্যোজ্জ্বল ছবি প্রকাশ করা হয়।
ফেসবুক পোস্টে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস বলে, ‘ঢাকা দূতাবাস গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, সহনশীলতা, সুশাসন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে দেখা হয়ে আমরা আনন্দিত।’
এ পোস্ট দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সাবেক সাংবাদিক ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শাহেদ আলম একটি ফেসবুক পোস্ট দেন। এতে তিনি লেখেন, “তোরা ‘হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি হাসের মন বান্ধিবি কেমনে…।’ হাস ভাই মনে হয় মন খুলে হাসার মতো কারো দেখা পাইছেন এত দিনে! বেচারা ওদিকের কারো লগে দেখা করতে গেলে টাইট হয়ে থাকে।”
ওই পোস্টের কমেন্টে নানা জন নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন।
রহমান মাসুম নামে একজন লিখেছেন, ‘হাঁসের হাসি বিরাট খুশি এবার বোধহয় বাজবে বাঁশি।’
প্রকাশ তানভির নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘এদের সাথে বন্ধুত্ব থাকলে আর শত্রুর দরকার নাই।’
তুগরিল হাসান মিশু লিখেছেন, ‘ভাই উনি অনেক দিন পরে উনার মত কাউকে পাইছে। যে অনেক কিছু করতে চায় কিন্তু কিছুই করতে পারে না। তাই…’
বিদ্রুপ করে শফিকুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, ‘হাস অলরেডি রোস্টেড, নট ইন্টারেস্টেড!’
এদিকে পিটার হাসের সঙ্গে মঈন খানের বৈঠক বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মঈন খান পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করেছে, তাতে আমাদের কী? দেখা করতেই পারেন।’
তবে বিএনপি গুম-খুনের কথা বলে পশ্চিমাদের মিথ্যা তথ্য দেয় বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তথ্য উপাত্ত ছাড়া এমন অভিযোগ এনে তারা সরকারকে অপবাদ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।