today visitors: 5073432

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফারহানা মিলী রাজনীতি গল্প 

 

 

 

আহসানুল হক নয়ন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

 

 

ফারহানা মিলী (খুশি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (০১)। তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের নিয়মিত কর্মী ছিলেন।

 

 

ফরহানা মিলী (খুশি) এক বাংলাদেশ আমার প্রতিবেদক এর কাছে তার জীবনীগ্রন্থ প্রকাশ করেন।

 

 

২০১৭ সালের -ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখের সম্মেলন অনুষ্ঠানের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা লীগে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আসীন হন তিনি। তার একাডেমিক প্রোফাইলের বিবরণ হল, তিনি ধানমন্ডি ল’ কলেজ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি প্রফেশনাল কোর্স সম্পন্ন করেছেন, যার সেশন ছিলো- ২০১৮-১৯ এবং পাস করার বছর ছিল ২০২৩ (কোভিড-19 এর কারণে)।

 

 

এর আগে তিনি টঙ্গী সরকারী কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এমএ (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজ থেকে বিএ অনার্স সম্পন্ন করেছেন।

 

 

যার সেশন ছিল ২০১০-১১ এবং তিনি ২০১৬ তে মাষ্টার্স শেষ করেন। উভয়ই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে সম্পন্ন করেছেন।

 

 

তিনি আলহাজ বেগম নুরন্নাহার কলেজ (নরসিংশার) থেকে এবং উচ্চ মাধ্যমিক (এইচ.এস.সি) এবং কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে পোয়াগ নরশিগশার এ. বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক সিহুল সার্টিফিকেট (এস.এস.সি) সম্পন্ন করেছি।

 

 

তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তর-বাংলাদেশ সরকার 2013 (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) অধীনে নগর সম্প্রদায় উন্নয়ন প্রকল্প প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

 

 

তার বাবার নাম মোঃ ইসমাইল/মস্তু মিয়া (বিএ), তিনি আগে জুটমিলসে এবং পরে অন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার পদে দায়িত্বরত ছিলেন। তার মায়ের নাম মমতাজ শাহীন, তিনি একজন গৃহিনী।

 

 

আমার ঠিকানা হল- ছোটহরণ (নাম- স্মৃতি কুঠির, গুড়া গাজীর বাড়ি), সদর, ০৯- নাটাই দক্ষিণ ইউপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আমার এক ছেলে (ছেলে), নাম মাশরাফি।

 

 

মূলত ২০০৮ সালের নির্বাচন দিয়ে ফারহানা মিলীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক এমপি প্রয়াত এডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চুর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার পর থেকেই রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা পোষণ করেন ফারহানা মিলী।

 

 

সেই সময় কঠোর পরিশ্রম এর দ্বারা রাজনৈতিক অঙ্গনে পদচালনা ঘটে  কলেজ পড়ুয়া এই মেয়ের!

 

 

এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রাজনীতির নিয়মিত কর্মী হয়ে উঠেন তিনি এবং পরবর্তীতে প্রতিটি ইউপি, উপজেলা, জেলা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে পৌরসভা নির্বাচনেও কঠোর পরিশ্রম এর বিনিময়ে নিজের স্বচ্ছতা এবং স্পষ্টবাদী উচ্চারণে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। ঢাকা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভিন্ন ব্যবসায় জড়িত ফারহানা মিলী নিজেকে মেলে ধরেছেন একেবারেই ভিন্ন ধাঁচে, এক অনন্য ব্যক্তিত্বের উদাহারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছেন নিজেকে তিলে তিলে!

 

 

বর্তমানে ফারহানা মিলী ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতিতে আইন পেশা চর্চায় যুক্ত আছেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালের এলএলবি(প্রফেশনাল কোর্স) সম্পন্ন করেছেন। এর আগে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স এবং এমএ মাষ্টার্স সম্পন্ন করেছেন। তিনি জেলা যুব মহিলা লীগের সাথে রাজনৈতিকভাবে জড়িত ছিলেন।

 

 

২০১৭ সালের জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দ্বারা বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামিলীগ এর ০১ নং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন। তিনি গত প্রায় ৮ বছর যাবত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর সঙ্গে জড়িত আছেন, এ পর্যন্ত অন্তত ১৬ বার রক্ত দিয়েছেন।

 

 

তিনি মাদক এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধী সংগঠন লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, তিনি জেলা নাগরিক ফোরামের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি সাইবার অপরাধ ও প্রতিরোধ বিষয়ক সংগঠন ‘সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল’ এর- প্রতিষ্ঠাতা এবং তৃণমূলে নারী খেলোয়ারদের সংগঠন ‘লেট’স প্লে’ এর- একমাত্র উদ্যোক্তা!

 

 

এ ছাড়াও তিনি নানাবিধ সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত।

 

 

আহসানুল হক নয়ন

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

 

তারিখঃ ১২/০২/২০২৪ইং