✍️ সামিউল হক মিঠু
মো: আলমগীর হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি ময়মনসিংহ।
আপনাকে দেখেছিলাম…
দেখতে দেখতে যেমন করে উড়ন্ত পাখি শূন্যে মিলিয়ে যায়
কিংবা প্রখর রোদে দিগন্তে তাকালে দৃষ্টি যেমন নীলাভ ঝাপসা হয়ে আসে,আর দেখা যায়না কিছু।
ততক্ষণই আমি আপনাকে দেখেছিলাম।
পলকহীন,এবং স্থির চোখে।
তারপর…….?
তারপর থেকে যেন আর কোন সৌন্দর্যই আমার দৃষ্টিতে ভাসেনি।
যদিও আমি অন্ধ হয়ে যাইনি কিংবা অন্য কোন ললনার বুক আমার চোখের সমান্তরাল হয়নি এমনও নয়।তবে আপনার মত কিছু দেখা হয়নি আর।
আপনাকে জেরুজালেমের মত পবিত্র লেগেছিল।
আমি আপনাকে দেখেছিলাম,অবুঝ হয়ে…..
আপনি ছিলেন ঠিক যেন একগুচ্ছ মায়ার সমাহার।
কোথায় যাচ্ছিলেন আপনি..?
মৃদু হাওয়ায় দু-চারটে চুল ঘামে ভেজা নাক ও গালে উড়ে এসেছিল।আপনি বারবার আঙুলের আচরে চুলগুলো সরাচ্ছিলেন।স্বস্তি পাচ্ছিলেন না হয়ত।
তবে ওভাবেই আপনাকে বিন্দাস লেগেছিল।
কি যে মোহনীয় ছিলেন…..!!!!
আমি অনেকটা চরিত্রহীনও হয়েছিলাম।
আমি তাকিয়েছিলাম আপনার বুকে।
ওড়নাটা একপেশে হয়ে আছে কিনা খেয়াল করেছিলাম।কিছুক্ষণের জন্য আমি ছিলাম অধার্মিক।
ভুলে যাই ঈমান,খুইয়ে ফেলি আমল।
তবুও আমি আপনাকে দেখেছিলাম।
অটুক সময়ই যেন ছিল মহাদেব সাহার এক কোটি বছর।
এবং আপনাকে নিবিড়ভাবে দেখার সৌভাগ্য নিয়েই জন্মেছি আমি। কিম জং “আপনাকে দেখা নিষিদ্ধ” মর্মে ঘোষণা দিতো বলেই আপনার জন্ম উত্তর কোরিয়ায় হয়নি।
“আপনাকে দেখে যিনি উন্মাদ হতে পারবে আপনি তার”
এমন আইন প্রনয়ণ হলে কেবল আমিই আপনাকে পাবো।
কেননা আপনি কোন আলেয়া ছিলেন না,আর আমিও হ্যালুসিনেট হইনি।
চাক্ষুষ আপনাকে দেখেছিলাম আর খুব দ্রুততম সময়েই উন্মাদ হয়েছিলাম।
একান্ত দুঃসময়ে যে মানুষটার অনুপস্থিতি আমরা অনুভব করি এমন মানুষকে নিয়ে পাশাপাশি হেটে জ্যোৎস্না দেখার স্বপ্নে মাতাল হওয়া জায়েজ আছে ।
আপনাকে দেখার পর থেকে আমার ইউটিউবে ঘুরা হয়না,মেসেঞ্জারে যাওয়া হয়না।
টিভি,পার্ক এমনকি আশ্চর্য সব পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে নিছক মনে হচ্ছে।
বন্ধুদের আড্ডা,অবসর এবং অলস দুপুরে আপনিই থাকেন আমার অলীকে।
আপনি হয়ে উঠেছেন একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র।
আমার বেলা-অবেলার বিনোদিনী।
◾বিনোদিনী
✍️ সামিউল হক মিঠু