মো:আলমগীর হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি ময়মনসিংহ।
এমন অস্বস্তি ভালবাসাকে সে কখনো অগ্রাহ্য করেনি।সে তার সমস্ত কিছুর বিনিময়ে আমার বুকে সংসার খুঁজে।
আমি নির্ঘাত স্বার্থপরের মত বরাবরই ছোঁয়া খুঁজি।
বউ অঞ্জন আর অনুপমের গানে অপলক বিভোর থাকে,আমি তার চোখে কামনা হাতরাই।
বিরক্তি গলায় আমাকে বলে উঠে শুনো,আমি গানে নয়,গানের ছলে তোমার ভিতরেই ডুবে থাকি।
“আমাকে বিরক্ত নয়,উপলব্ধি করো”।
একবার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল আমি তাজমহল চিনি কিনা ? শাহজাহান,ফরহাদ এদের নাম শুনেছি কিনা ? এমন প্রশ্নে রাগান্বিত হয়েছিলাম,কিন্তু গহীনতা বুঝিনি।
সে আমাকে বুঝাতে চেয়েছিল শরীরে শরীরে,মহল হয়না,সংসার হয়না।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আমাকে তুমি কতটা ভালবাসো ? উত্তরে সে বলেছিল সতীদাহ প্রথাই ভাল ছিল ।
তখনও আমি কথার পেছনের কথা বুঝিনি।
তার সহস্র স্বপ্ন হত্যার পর বুঝি,আমার স্বাভাবিক মৃত্যু তাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার সমান।
তার চোখে আমি হিমালয়,এভারেস্ট।
আমার চোখে সে ঐশ্বর্য রায়,আবেদনময়ী এক বিপাশা বসু কিংবা মিয়া খলিফা মাত্র।
আমাকে মানুষ হতে শতাব্দী,আরও শতাব্দী সময় প্রয়োজন।
সে জন্ম থেকেই মানুষ,মহীয়সী।সে নারী।
🔘 পার্থক্য
✍️ সামিউল হক মিঠু