জামিউল আহসান, স্টাফ রিপোর্টার।
সেটেলমেন্ট অফিস পঞ্চগড়ে আউটসোর্সিং এ ঝাড়ুদার থেকে নৈশ্য প্রহরী বনে যাওয়া সাইদ নিয়ম নিতীমালার তোয়াক্কা না করে পেশকারক হেলালে অফিস কক্ষে তিনার টেবিলে বসে জমির ডিসপুট লেখা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় জমি সংক্রান্ত সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সাঈদ নামে এই নৈশ্যপ্রহরী।
এ বিষয়ে উক্ত অফিসের পেশকারক হেলালকে অবহিত করলে তিনি জানান আউটসোর্সিং এ নিয়োগ পাওয়া নৈশ্যপ্রহরী সাঈদ আমার কাজ করছিলেন বলে তিনি জানান। উক্ত সময় অফিসে পেশকার হেলাল উপস্থিত ছিলেন না।
যিনি কিনা সন্ধা থেকে রাত অব্দি সরকারী অফিস ও মালামালের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা কিন্তু তিনাকে রাতে অফিস পাহারায় দেখা না গেলেও দিনে অফিস চলাকালিন সময় গ্রাহকদের সাথে অফিসের দ্বিতীয় তলায় একটি ফাঁকা জায়গায় জমি সংক্রান্ত সমস্য সমাধান করতে টাকা ভাগ করতে দেখা যায়। এছাড়াও তাকে সবাই নৈশ্যপ্রহরী হিসেবে না চিনলেও সাঈদ দালাল নামে সবাই চেনে। যদিও অফিসের প্রত্যেকটি কক্ষে দালাল প্রতারক থেকে বিরত থাকুন মর্মে পোষ্টার টাঙ্গানো থাকলেও যা কেবলই নাম মাত্র। অত্র অফিসে মৌজা চলাকালিন সময়ে ২০ থেকে ২৫ জন দালাল সরাসরি সরকারি অফিসে অবস্থান নিয়ে সরকারি কার্য সম্পাদন করতে দেখা যায়। এতে প্রতন্ত গ্রাম থেকে আসা সাধারণ মানুষের মনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ধারন করে।
অত্র অফিসে ঘুষ ছাড়া কোন কার্য সম্পাদন হয় না বলে জানান সেবা নিতে আসা কয়েকজন গ্রাহক।