প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ২:০৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১, ২০২৪, ৪:০১ এ.এম
প্রশংসায় ভাসছে টনি হেমিংয়ের সিলেটের উইকেট
স্পোর্টস ডেস্ক :
গামিনি ডি সিলভা। নামটি শুনলেই দৃশ্যকল্পে ভেসে ওঠে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একটি উইকেট। যেখানে রান সংগ্রহের সময়ে ভুগতে থাকে দলগুলো। কুয়াশা পড়লে অনেক সময় রানবন্যায় ভেসে যায় প্রতিটি দল। আলোচনা-সমালোচনা কোনোভাবেই যেন পিছু ছাড়ে না এই স্টেডিয়ামের পিচকে। তবে সেই জায়গায় স্বস্তি এনে দিয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট। লাক্কাতুরায় ক্রিকেটবান্ধব উইকেট বানিয়ে নিয়মিত প্রশংসায় ভাসছেন টনি হেমিং।
গত বছরের জুলাইয়ে কিউরেটর হিসেবে টনি হেমিংকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। এরপর থেকেই তার কাজের প্রশংসা শোনা যায়। চলতি বিপিএলেও তার প্রমাণ পাওয়া গেল। ঢাকার উইকেট থেকে সম্পূর্ণ আলাদা উইকেট দেখা গেছে লাক্কাতুরায়। ঢাকায় যেখানে দিনের খেলায় রান তুলতে ভুগেছে দলগুলো, সেখানে সিলেটের উইকেটে অনায়াসে রান এসেছে।
বিপিএলের প্রথম ৮ ম্যাচের মধ্যে সর্বোচ্চ রান এসেছে ১৮৮। আর সেটি ছিল রাতের ম্যাচে। দিনের ম্যাচে ১৪৭ রানের বেশি কেউ তুলতে পারেনি। অন্যদিকে, সিলেটে ৮ ম্যাচ শেষে দেখা যায়, দিনের খেলায় সর্বোচ্চ ১৯৩ রান এসেছে। আর সকলের মুখেই উইকেটের প্রশংসা শোনা গেছে।
সিলেটে প্রথমদিনের খেলা শেষে খুলনা টাইগার্সের কোচ তালহা জুবায়েরের কণ্ঠে উইকেটের প্রশংসা ফুটে ওঠে। এমনকি হেরেও উইকেটের প্রশংসা করেছেন রংপুর রাইডার্সের কোচ সোহেল ইসলাম। ক্রিকেটাররাও তেমনটি বলেছেন। এদিকে বিসিবির নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাকও সিলেটের উইকেটের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টিম সাউদি মিরপুরের উইকেটকে তার জীবনের সবচেয়ে বাজে উইকেট হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন। এই জায়গা থেকে হয়তো মান রাখার কাজটি নিরলসভাবে করে যাচ্ছে সিলেট। আর এই কাজের পেছনে মূল কারিগর হিসেবে থাকেন টনি হেমিং।
অস্ট্রেলিয়ান এই কিউরেটর এর আগে কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দুবাই, ওমান, সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এশিয়ার দেশগুলোতে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় এখানকার পরিবেশটা বুঝতে তার বেগ পেতে হয় না। নিজ দায়িত্বে ক্রিকেটবান্ধব উইকেট বানিয়ে খেলাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলছেন তিনি। যদিও চলতি বিপিএলে দেশি ক্রিকেটারদের ব্যাট সেভাবে হাসেনি হেমিংয়ের উইকেটে। সিলেটে আরও ৪টি ম্যাচ রয়েছে। সেগুলোতে দেশি ব্যাটাররা কতটুকু প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
Copyright © 2024 . All rights reserved.