ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনস্ক প্রাভদা ওয়েবসাইটের খবরে বলা হয়েছে, উড়োজাহাজটি রাশিয়ার এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বহন করছিল। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে যুদ্ধবন্দিদের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
তবে বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে কিয়েভ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আসলে কী ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও কিছু সময় প্রয়োজন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, এতে অন্তত ৬৫ ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিকে বিনিময়ের জন্য বেলগোরোদে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাদের সঙ্গে বিমানের ৬ রুশ ক্রু ও আরও তিন ব্যক্তি ছিলেন। বিমানে থাকা সবাই নিহত হয়েছেন।
রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকার ভিয়াচেস্লাভ ভলোদিন অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের বহনকারী বিমানটি গুলি করে ভূপাতিত করেছে কিয়েভের সেনারা। তারা আকাশে নিজেদের সেনাদের গুলি করেছে। মানবিক মিশনে থাকা আমাদের পাইলটকেও গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
বেলগোরদের আঞ্চলিক গভর্নর ভ্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ বলেছেন, ‘বেলগোরদ অঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়া সামরিক বিমানটিতে থাকা সব যাত্রী নিহত হয়েছেন।’ তিনি জানান, শহরের উত্তর-পূর্বে কোরোচানস্কি নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এবং তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন। তদন্তকারী এবং উদ্ধারকর্মীরা এরমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
রুশ ইলিউশিন-৭৬ সামরিক পরিবহন উড়োজাহাজটি সেনা, কার্গো, সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র আকাশ পথে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। এতে সাধারণত পাঁচজন ক্রু থাকেন এবং এটি ৯৯ জন আরোহী বহন করতে পারে।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় বেলগোরোদ গত কয়েক মাস ধরে নিয়মিত ইউক্রেনীয় হামলার শিকার হচ্ছে।