আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যেভাবেই হোক আবার পুরনো সম্পর্কে ফিরে পেতে চেয়েছিলেন তরুণী। উপায় না পেয়ে শেষমেশ ‘কালোজাদু’র মাধ্যমে সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে ফেরার চেষ্টাও শুরু করেন তিনি। তবে যে পথে তিনি এগিয়েছিলেন, তা তার নিজের জন্যই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে বহু দিন। কিন্তু মন থেকে কিছুতেই যেন তা মেনে নিতে পারছিলেন না প্রেমিকা। উপায় না পেয়ে শেষমেশ ‘কালোজাদু’র মাধ্যমে সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে ফেরার চেষ্টা শুরু করেন তিনি। জ্যোতিষীর প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে খুইয়ে বসেন ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুর জালাহাল্লি এলাকায়। ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণী স্থানীয় থানায় এক জ্যোতিষী এবং তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আব্দুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। নিয়মিত জ্যোতিষচর্চা করেন এমনটাই তরুণীকে জানিয়েছিলেন আব্দুল। সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে কীভাবে আবার পুরনো সম্পর্ক জোড়া দেয়া যায়, তা নিয়ে আব্দুলের সঙ্গে আলোচনা করতেন তরুণী।
ওই তরুণীর দাবি, তার সাবেক প্রেমিকের পরিবার থেকে যেন তাদের সম্পর্ক নিয়ে কোনো আপত্তি না জানানো হয়, সে জন্য তরুণীকে একটি বিশেষ আচার পালন করতে বলেছিলেন আব্দুল। সে কারণে পারিশ্রমিক বাবদ ৫০১ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পর তরুণীর ছবিসহ তার সঙ্গে সাবেক প্রেমিকের ‘ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের’ ছবিও চেয়েছিলেন আব্দুল। এমনকি পরিবারের সদস্য এবং তার সব বন্ধু-বান্ধবের ছবিও আব্দুল চেয়েছিলেন বলে তরুণীর অভিযোগ।
বিশেষ আচার পালন করে ‘কালোজাদু’ করতে বলেছিলেন আব্দুল। সে কারণে পরে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা তরুণীর কাছে পারিশ্রমিক হিসাবে চেয়েছিলেন তিনি। জ্যোতিষীর কথামতো নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকও দিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু তারপর আবারও প্রায় দেড় লাখ টাকা তরুণীর কাছে দাবি করেন আব্দুল। বারবার এত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে তরুণীকে হুমকি দিতে শুরু করেন তিনি।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তার পরিবারের সদস্যদের দেখিয়ে দেবেন বলে আব্দুল তাকে হুমকি দিতে থাকেন। ভয় দেখিয়ে তরুণীর কাছ থেকে আরও ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা চান। মোট ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা আব্দুলকে দিয়েছিলেন তরুণী।
শেষ পর্যন্ত আব্দুল এবং তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। তদন্ত চালিয়ে আব্দুল এবং তার দুই সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তরুণী নানা রকম আচার-অনুষ্ঠান পালন করার জন্য জোর করতেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন আব্দুল। যে টাকা তিনি পারিশ্রমিক হিসাবে নিয়েছিলেন, তা পুরোটাই তরুণীকে ফিরিয়ে দেবেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।