বিনোদন ডেস্ক :
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে সরে যাচ্ছেন চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী। অল্প সময়ের মধ্যেই শিল্পী সমিতি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেবেন এ নায়ক।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয় চৌধুরী নিজেই।
তিনি বলেন, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সমিতিতে গিয়ে অফিসিয়ালি পদত্যাগের বিষয়টি জানাব। আমি সব সদস্যকে হয়তো বার্তা পাঠাব। কেননা যে পজিশনে বসে আমি কাজ করতে পারব না, সেটা ধরে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। আমার জায়গায় যদি অন্য কেউ আসেন, সে হয়তো কাজটি ভালোভাবে করতে পারবেন। তখন তাকে সাপোর্ট করবে সংগঠন।
জয় চৌধুরী বলেন,
আমার জায়গা থেকে আমি মনে করি আমার একদমই দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমি আর সমিতির কোনো কিছুতেই নেই। আমি এখন শুধু আমার কাজে ফোকাস করছি।
অভিনেতা বলেন, এটা অফিশিয়ালি, শুধু নির্বাচনের জন্য নয়। এমনকি আমি আর কখনো নির্বাচনও করব না। এছাড়া আমি দুঃখিত যে সমিতির সদস্যদের জন্য আমি কিছুই করতে পারিনি।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
অব্যাহতিপত্রে সাইমন সাদিক বলেন, ‘আমি সাইমন সাদিক বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচিত সহসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিগত দিনগুলোতে নিজ দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ নিবেদিত ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি সমিতির নেয়া কিছু সিদ্ধান্ত ও নীতির সঙ্গে একমত হতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন,
সাফটা চুক্তিতে বিদেশি ভাষার সিনেমা আমদানি করে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে হুমকিতে ফেলে বিদেশি সিনেমা মুক্তির প্রেক্ষিতে উদ্ভূত বিতর্কিত পরিস্থিতিতে সমিতির কার্যকরী পরিষদের নিস্ক্রিয়তা আমার কাছে সমর্থনযোগ্য নয়।
সাইমনের কথায়, আমার অভিনীত ‘শেষ বাজি’ চলচ্চিত্রটি গত ১৯ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে। একই দিনে নিয়ম নীতি না মেনে বিদেশি আর একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। যা আমাদের অধিকাংশ সিনেমা হলে প্রদর্শিত হয়েছে। যে কারণে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প এবং আমার ক্যারিয়ার যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হতাশার বিষয় আমাদের সমিতি নীরব রয়েছে। এ সব বিষয় নিয়ে মত পার্থক্য থাকায় সমিতির কার্যকরী কমিটিতে থাকা আমি অযৌক্তিক এবং অনুচিত মনে করছি। তাই সহসাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি চাইছি। অতীতের মতোই দেশীয় চলচ্চিত্র বিকাশের পক্ষে কাজ করে যাবো।