গোসলে যত ভয়

শীতে গোসল নিয়ে আলসেমি প্রায় সকলেরই চেনা গল্প। সকাল কিংবা দুপুর যে বেলাই হোক, কুয়াশায় ঢাকা দিনগুলোতে গোসলখানায় পা বাড়াতেই কাজ করে হাজারো অনীহা। অনেকে তো চোখ বুজে শত সমালোচনা সয়েও গোসল ছাড়াই পার করে দেন চার পাঁচ দিন।এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত কী? একাধিক গবেষণা বলছে—শীতে গোসল না করা কোনো সমাধান না। গোসলের নিয়মটা বদলে ফেলা জরুরি।

অনেক গবেষকদের দাবি, প্রতিদিন গোসল না করলে শরীরে রোগ বাসা বাঁধতে পারে; এমন দাবি সত্য নয়। তবে শীতে গোসল না করলেও হজম প্রক্রিয়া বা শরীরের ভেতরের সব ক্রিয়া ঠিকভাবেই চলবে। শীতে একদিন পরপর গোসল করা দোষনীয় কিছু নয়। তবে একেবারে না করলে আবার ক্ষতি।

শীতে গোসল না করলে আপনার ত্বকে নানা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়তে পারে। যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ নানা অসুখ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আপনি চাইলে সর্বোচ্চ দুইদিন গোসল ছাড়া থাকতে পারেন। তাতে শরীরে সমস্যা বেশি হয় না। গোসল না করলেও ভেজা তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে নেওয়া ভালো।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শীত খুব বেশি পড়লে সপ্তাহে তিন-চার দিন গোসল করাই যথেষ্ট। গোসল না করলেও হাত মুখ ভালো করে ধুয়ে নেওয়া জরুরি। শীতে গোসলের সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহারের চেষ্টা করুন। বেশি ঠাণ্ডা কিংবা বেশি গরম পানি দুটোই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। গরম পানি ব্যবহার করে পানি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে আসা ভালো।

নিয়মিত গোসল করলে শরীর থেকে কোনো অপ্রীতিকর গন্ধ আসে না। এছাড়া নিয়মিত গোসলে ত্বকের ছিদ্রগুলো শ্বাস নিতে পারে, ত্বকের কোষগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি ঘটে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে—একাগ্রতা ও শ্বাসের ক্ষেত্রেও সাহায্য করে।