যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র ও বাইডেনের অন্যতম উপদেষ্টা জন কিরবি ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এ ইস্যুতে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করি।’
বাইডেন প্রশাসনের অন্য এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি তার (নেতানিয়াহু) এই বক্তব্যকে চূড়ান্ত বিলে ধরে নিই, তাহলে একদিকে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে, অন্যদিকে সেখানে আটক জিম্মিদের মুক্তিও আটকে যাবে-যা কখনও কাম্য নয়।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গাজা উপত্যকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ, আর উপত্যকাকে পুনর্গঠন করা স্বল্পমেয়াদি চ্যালেঞ্জ।
বৃহম্পতিবার( ১৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বলে দিয়েছেন যে, গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ফিলিস্তিনিদের জন্য রাষ্ট্র গঠনের যে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ওয়াশিংটন তিনি তা নাকচ করে দিয়েছেন।
এ সময় গাজায় সম্পূর্ণরুপে বিজয় না আসা পর্যন্ত হামলা চালিয়ে যাবেন বলেও অঙ্গিকার করেন তিনি। এছাড়াও হামাসকে ধ্বংস করা ও বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে আরও কয়েক মাস সময় লেগে যাবে বলে জানান নেতানিয়াহু।
দীর্ঘদিন থেকেই দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়ে তেল আবিবকে কূটনৈতিক চাপ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরাইলের মিত্রদেশগুলো। কিন্তু বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনের সকল ভূ-খণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ইসরাইলকে।