নিজস্ব প্রতিনিধি :
মাদারীপুরে শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বাজারে দাম বেড়েই চলছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজিতে কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা।
জানা যায়, মাদারীপুর জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি কাঁচাবাজার শহরের পুরানবাজারে অবস্থিত। এ পাইকারি আড়তে রাজশাহী, বগুড়া, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শাকসবজি নিয়ে আসেন পাইকাররা। এছাড়া স্থানীয় চাষিরাও ফসল উৎপাদন করে এখানে বিক্রি করেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে এই শীতকালীন সবজির। অথচ দাম না কমলেও বাড়ছে প্রতিদিনই। কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন বিক্রেতারা।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিক্রেতারা বলছেন, ঘন কুয়াশায় সবজি বাজারে আসছে কম। অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে মাঠের ফসল কৃষকরা তুলতে না পারায় বেড়েছে দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
পাইকারি আড়তদার সূত্র জানায়, প্রতি কেজি ফুলকপি ৩৮-৪০ টাকা, বাঁধাকপি, ১৮-২২ টাকা, সিম ৪৫-৪৮ টাকা, বেগুন ৫০-৫৪ টাকা, রেখা ৪০-৪৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪৮-৫৫ টাকা, গাজর ২৮-৩০ টাকা, শসা ৩০-৩৪ টাকা, আলু ৪৫-৪৮ টাকা, কুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, পেঁয়াজ ৫১-৫৮ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মো. রুহুল আমিন নামে ক্রেতা বলেন, ‘কাঁচা বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। গত সপ্তাহের থেকে দেড় থেকে দ্বিগুণ সব শাকসবজির। বাজারে কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।’
সাইদুল ইসলাম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘বাজার এখন ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। নিত্যপ্রয়োজনীয় আলু সেটার দাম চড়া। আমরা কিনে খেতে পারছি না।’
মামা-ভাগ্নে বাণিজ্যলয়ের সত্ত্বাধিকারী হাওলাদার মামুন বলেন, ‘বৃষ্টিতে কৃষক মাঠের ফসল তুলতে না পারায় দাম কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া দূরের জেলার শাকসবজিও কম আসছে বাজারে। তাই এর প্রভাব পড়েছে। দু-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।’
মাদারীপুরের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ভোক্তাদের স্বার্থে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেয়া হয়।
Leave a Reply