প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৮, ২০২৪, ৮:০৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারী ১৯, ২০২৪, ৪:৫১ এ.এম
পাকিস্তান নাকি ইরান, সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একে অপরের ভূখণ্ডে কথিত জঙ্গি আস্তানায় হামলা চালানোর মাধ্যমে নতুন করে বিবাদে জড়িয়েছে পাকিস্তান ও ইরান। প্রতিবেশী এ দেশ দুটির পাল্টাপাল্টি এমন হামলার পর আলোচনায় আসছে তাদের সামরিক সক্ষমতার বিষয়টিও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ইরানে বিচ্ছিন্নতাবাদী বেলুচ জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। এতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) পাকিস্তানে একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে হামলার কথা জানায় তেহরান।
বহু আগে থেকেই নিজেদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দেয়ার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে ইরান ও পাকিস্তান।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার সূচকের সবশেষ মূল্যায়নে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে বিশ্বের নবম শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে। এদিকে, একই সূচকে ইরানের অবস্থান ১৪তম।
সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রয়েছে পাকিস্তানের। পাকিস্তান সেনাবাহিনী আল-খালিদ এবং টাইপ ৯০-২ সহ বিভিন্ন আধুনিক যুদ্ধ ট্যাংক এবং সাঁজোয়া যুদ্ধ যান দিয়ে সজ্জিত। এই বাহিনীতে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ সক্রিয় এবং সাড়ে ৫ লাখ রিজার্ভ সদস্য রয়েছে।
এফ-১৬ এবং জেএফ-১৭ থান্ডারের মতো বিখ্যাত যুদ্ধবিমানসহ পাকিস্তানের হাতে ১ হাজার ৪৩৪টি বিমান রয়েছে।
প্রায় ৩০ হাজার সক্রিয় কর্মীসহ বহুমুখী একটি নৌ বহরের রক্ষণাবেক্ষণ করে পাকিস্তান নৌবাহিনী, যেখানে রয়েছে ফ্রিগেট, সাবমেরিন এবং টহল জাহাজও।
এদিকে, সক্রিয় সৈন্যের দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় ইরানের সশস্ত্র বাহিনী। সুসংগঠিত সামরিক কাঠামোর পাশাপাশি ইরানের সশস্ত্র বাহিনী প্রায় ৬ লাখ ১০ হাজার সক্রিয় সদস্য নিয়ে গঠিত।
এছাড়াও, পর্যাপ্ত রিজার্ভ সেনার পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে সাড়া দেয়ার জন্য দেশটিতে প্রস্তুত রয়েছে সাড়ে তিন লাখ প্রশিক্ষিত সদস্য।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান সেনাবাহিনী, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান বিমান বাহিনী এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নৌবাহিনীর সমন্বয়ে উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তি রয়েছে দেশটির।
স্থানীয়ভাবে তৈরি করা সাগেহ এবং পুরনো এফ-৪ ফ্যান্টমসসহ ৫শ’রও বেশি বিমান রয়েছে ইরানের বিমান বাহিনীর কাছে, যা দেশটির প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। অন্যদিকে ইরানের নৌবাহিনীতে ২০ হাজার সক্রিয় সদস্য রয়েছে। ফ্রিগেট, কর্ভেট এবং সাবমেরিনসহ ৬৭টি ইউনিটের বৈচিত্র্যপূর্ণ এক বহর রয়েছে তাদের।
Copyright © 2024 . All rights reserved.