স্পোর্টস ডেস্ক :
শেষ দিকে ম্যাচ পেন্ডুলামের মতো দুলছিল। কারা জিতবে সেটি ঠাওর করে বলাও কঠিন ছিল। তবে ১৯তম ওভারের শেষ বলে খুশদিল শাহকে ছক্কা মেরে ঢাকার চিন্তা দূর করেন ইরফান শুক্কুর।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য লাগত ৪ রান, স্ট্রাইকে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন মোস্তাফিজের বলে লেগ বাই থেকে ১ রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন ইরফানকে। দ্বিতীয় বলে রোস্টন চেজের দুর্দান্ত ক্যাচে ম্যাচে ফিরে কুমিল্লা। তবে তৃতীয় বলে চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা নেমেই ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দিলেন।
নামের প্রতি সুবিচার করল দুর্দান্ত ঢাকা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে আসর শুরু করল ঢাকা।
মিরপুরের শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে কুমিল্লার দেওয়া ১৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও দানুষ্কা গুনাথিলাকার ব্যাটে দারুণ শুরু পায় ঢাকা।
ওপেনিং জুটিতে ১২.১ ওভারে ১০১ রান তুলে ফেলে ঢাকা। দুই ওপেনার রান তুলেছেন বেশ দ্রুতই। নাঈম শেখ পেয়েছেন ফিফটি। দুজনের জুটি ভাঙে তানভির ইসলামের বলে ৫২ (৪১) রান করা নাঈমের বিদায়ে।
নাঈম ফিফটি হাঁকালেও গুনাথিলাকা আঁটকে যান ৪১ রানের মাথায়। আরেক শ্রীলঙ্কান ব্যাটার লাসিথ ক্রসপুলেকে ৫ রান ফেরান মোস্তাফিজ। ১১৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় কুমিল্লার দিকে।
তবে ইরফান শুক্কুরের ১৬ বলে ২৪ আর চাতুরাঙ্গার ৬ রানে ভর করে ম্যাচ বের করে ফেলে ঢাকা। কুমিল্লার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন তানভির ইসলাম ও মোস্তাফিজ। ১টি উইকেট নেন খুশদিল শাহ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৪৩ রান করে কুমিল্লা। ব্যাট করতে নেমে লিটোন দাস ১৩ রানে ফিরেন চাতুরাঙ্গার বলে ক্যাচ দিয়ে।
শুরুর ধাক্কা সামলেন ইমরুল কায়েস ও তাওহীদ হৃদয়। ইমরুল খেলেন ৫৬ বলে ৬৬ রানের ইনিংস। হৃদয়ের ব্যাটে আসে ৪৭ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে খুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে ফিরিয়ে হ্যাট্রিক করেন শরিফুল ইসলাম। যা বিপিএলের ইতিহাসে সপ্তম হ্যাট্রিক ও উদ্বোধনী ম্যাচে প্রথম।
কুমিল্লা শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৪৩ রান তুলে শেষ করেছে ইনিংস। ঢাকার পক্ষে ৩ উইকেট নেন শরিফুল, ২ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও ১টি উইকেট নেন ডি সিলভা।