স্পোর্টস ডেস্ক :
সাকিব-তামিমের দ্বৈরথ এখন সবার জানা। দুজন এখন দুই মেরুর। অথচ একটা সময় তারা একই বাসায় থাকতেন, দুজনের বন্ধুত্বও ছিল আর সবার থেকে আলাদা। কিন্তু এখন তাদের তিক্ততার সম্পর্কই হয়ে উঠেছে উদাহরণ।
গত বছর বিশ্বকাপের সময় একটি বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তামিম-সাকিবকে। ভাবা হচ্ছিল সব ঠিক হয়ে যাবে আগের মতন। কিন্তু কিছুই হয়নি। এরপর দুজনের আর কথাই হয়নি।
এমনকি সাকিব আল হাসান প্রথমবার নির্বাচন করে জিতলেও তাকে অভিনন্দন জানাতে পারেননি তামিম ইকবাল। কারণ দুজনের কথা বলা হয়নি, দেখাও হয়নি।
দুজনের এই ব্যক্তিগত সম্পর্কের একটা ঝাঁজ মাঠের ক্রিকেটেও পড়বে সেটাই ধারনা করা হচ্ছে। এবারের বিপিএলে ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ নিয়ে বেশ আগ্রহ থাকবে দর্শকদের।
এই ম্যাচে দুই তারকার দেখা হবে। অবশ্য দুজন অধিনায়ক না হওয়ায় টসে দুজনের দেখা হওয়ার সুযোগ নেই। ম্যাচ শেষে সৌজন্যমূলক হাত মেলাতে তো হবে। তখন তামিম-সাকিব কি করেন সেটাই দেখার।
তামিম-সাকিবের দূরত্বটা আরও আগে থেকেই। বিশ্বকাপে পাল্টাপাল্টি সাক্ষাৎকার ঘটনায় ফোনালাপে কথা বলাও বন্ধ। তাই নির্বাচনে জয়ের পর সাকিবকে ফোন করে অভিনন্দন জানানোর সুযোগ হয়নি তামিমের। বাংলাদেশ ওপেনার অবশ্য জানালেন দেখা হলে অভিনন্দন জানানোর সুযোগটা হবে, ‘‘এখনও দুজনের কারও সাথে দেখা হয়নি। দেখা হলে অবশ্যই কথা তো হবেই। তখন দেখা যাক কি হয়।’’
মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা আরও আগে থেকেই রাজনীতিতে আছেন। সাকিব এলেন এবার। ভবিষ্যতে তামিমের রাজনীতিতে আসার সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নে সম্ভাবনা একদম উড়িয়ে দেননি তামিম, ‘‘এটা খুব রিস্কি একটা কথা। আমি না বললাম, আবার ১০ বছর পর দেখা গেল করছি (পলিটিক্স)। তখন এটা দেখিয়ে দিবেন যে আমি না বলেছিলাম। তাই কোনও কিছুকে না বলা যায় না। তবে এখন আমার কোনও আগ্রহ নেই।’’