ফেরদৌসকে অনেকটা নির্ভার মনে হলেও তার প্রধান প্রতিপক্ষ সরব হয়েছেন দুদিন হলো। লাঙ্গলের শাহজাহান মাঠে নেমেই বলছেন, সিনেমা আর বাস্তবের ফারাক অনেক। আর ঢাকা দশের সত্যিকারের নায়ক তিনিই।
শাহজাহান বলেন, সিনেমার মধ্যে তিনি পরিচিত ব্যক্তি। কিন্তু এলাকার জনগণের দিকে থেকে তিনি পরিচিত না। রূপালি পর্দা আর বাস্তবতার মধ্যে পার্থক্য আছে। তিনি তো জনগণ সম্পর্কে বুঝেন না। জনগণ তাকে মেনে নেবেন না।
যদিও ফেরদৌস বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ফিল্ড ওয়ার্ক করে একটা ভালো জায়গায় আছি। এলাকার জনগণ এতদিন আমাকে একটু দূর থেকে দেখেছেন। এখন তারা আমাকে কাছ থেকে দেখছেন।
তবে উত্তরের এই পাশে ঢাকা ১২, ১৩, ১৫, ১৬ আসনে অনেকটা নির্ভার আওয়ামী লীগের হেভিওয়েটরা। তবে প্রতিযোগিতা কম হওয়ায় এসব আসনে ভোট উপস্থিতি কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যদিও তা মানতে নারাজ নৌকার প্রার্থীরা। তাছাড়া ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে কৌশলী হচ্ছেন তারা।
ঢাকা- ১৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ভোটের দিনের জন্য আমাদের নেতাকর্মীদেরকে গ্রুপ করে দিচ্ছি। তারা নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণীকে ভোট কেন্দ্রে নেয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, তাই রিকশার ব্যবস্থাও করে দেব।
ঢাকা- ১৬ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা বলেন, ভোটের জন্য মানুষ অপেক্ষায় আছে। তারা বলছেন, তাদেরকে বলতে হবে না। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোট দেবেন।
এদিকে আগেভাগেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তর নেই এসব আসনে জাপার প্রার্থীদের কাছে।
ঢাকা- ১৫ আসনে জাপার প্রার্থী সামসুল হক বলেন, নৌকা প্রত্যাহার করে থাকলে সেটা কেন করলো, তারাই বলতে পারবে। আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচন করছি। সারা দেশেই জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা একটা ব্যাপারে নিশ্চিত, সেটা হলো আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।
তবে ঢাকা- ৪ আসনে নৌকা লাঙ্গলের দ্বৈরথ দেখা যাবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।