বিনোদন ডেস্ক :
বড় পর্দার দুই জনপ্রিয় মুখ ফেরদৌস-পূর্ণিমা। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনেও বেশ ভালো সম্পর্ক তাদের। তাই বন্ধুর জন্য যখন যেটা সবচেয়ে দরকার সেটা করেছেন পূর্ণিমা। সম্প্রতি বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে ফেরদৌস নিজেও এটি স্বীকার করেছেন।
গত নভেম্বর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন ফেরদৌস-পূর্ণিমা। তখনও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছিলেন ফেরদৌস। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানেই ফেরদৌসের মনোনয়নের বিষয়টি রসিকতার ছলে তোলেন পূর্ণিমা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ফেরদৌসকে উদ্দেশ্য করে মজার ছলে পূর্ণিমা বলে ফেলেন, পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছো, ভেবো না মনোনয়ন পাবা!
তখন উত্তরে ফেরদৌস বলেন, বলা তো যায় না, পেয়েও যেতে পারি। পূর্ণিমা-ফেরদৌসের এমন রসিকতা দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা দুজনে হেসে ফেলেন।
এই ভিডিওটি সেই অনুষ্ঠানে দেখানো হলে পূর্ণিমা বলেন, ফেরদৌস আমার বন্ধু। আমার যতটুকু করার দরকার আমি করে দিয়েছি। আমি জায়গা মতো বলে দিয়েছি!
এর কিছুদিন পরেই ‘ঢাকা ১০’ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন ফেরদৌস। সম্প্রতি এই অনুষ্ঠানে পূর্ণিমার কথাটি স্বীকার করেন এ নায়ক। ফেরদৌস বলেন, আমি বরাবরই বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসায় বিশ্বাস করি। পূর্ণিমা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। সে আমার জন্য দোয়া করেছে এবং সেটি আল্লাহ কবুল করেছে। এটা জ্বলন্ত উদাহরণ।
পূর্ণিমা বলেন, অন্যান্য অনুষ্ঠানে নিজের মতো উপস্থাপনা করি। কিন্তু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে স্ক্রিপ্টে যা থাকবে তার বাইরে বলার নিয়ম নেই। তবুও ওই অংশটুকু তাৎক্ষণিক বলে ফেলি। কিন্তু ঐদিন স্টেজের পিছনে আমাদের দুজনের মধ্যে যে খুনসুটি হচ্ছিল। সেই স্মৃতি কখনো ভুলব না। ফেরদৌস বারবার স্ক্রিপ্ট পড়ছিল। কিন্তু স্টেজে পিএম এবং ছোট আপাকে (শেখ রেহানা) দেখে ফেরদৌস স্ক্রিপ্ট ভুলে যায়। পরে ব্যাক স্টেজে ৬ বোতল পানি খায়!