প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ৬:৫৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩, ২:৪৪ পি.এম
বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ এলে কী করবেন সাকিব?
স্পোর্টস ডেস্ক :
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও এখনই ক্রিকেট ছেড়ে যাচ্ছেন না সাকিব আল হাসান। আরও কয়েক বছর খেলা চালিয়ে যেতে চান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। অবসরের পরও থাকতে চান ক্রিকেটের সঙ্গে। সময়-সুযোগ পেলে বিসিবির সভাপতি হতেও আপত্তি নেই তার। দায়িত্ব পেলে দেশের ক্রিকেট কাঠামোকে আমূলে বদলে দিতে পারবেন বলেই বিশ্বাস সাকিবের।
ক্রিকেটের পাশাপাশি রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন সাকিব।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তখনও তিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছেন মাশরাফী। তবে এবার আর তিনি একা নন। আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। মাশরাফির পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজনীতির পাশাপাশি ক্রিকেটও চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই পোস্টেরবয়।
বয়স ৩৬ হলেও ফিটনেস বিবেচনায় নিলে সাকিব এখনও দেশের অন্যতম ফিট খেলোয়াড়। তাই আরও কিছুদিন ক্রিকেট চালিয়ে নেওয়া তার পক্ষে কঠিন হবে না বলেই মনে করেন অনেকেই। আর ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ার শেষ করেও ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকতে চান এই অলরাউন্ডার।
মাশরাফী-সাকিব রাজনীতিতে আসার পর বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক সমর্থকই একদিন তাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যে এমন পোস্ট হরহামেশাই চোখে পড়ছে। সময় নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সাকিবকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সাকিবের সামনে যদি বিসিবির সভাপতি হওয়ার সুযোগ আসে, তবে কি তিনি তা গ্রহণ করবেন?
জবাবে সাকিব বলেন, 'অবশ্যই।' এরপর তাকে ফিরতি প্রশ্ন করা হয়, দায়িত্ব পেলে কী কী কাজ করতে চান তিনি?
সাকিব বলেন, 'আমি জানি না কিন্তু অনেক কাজই করার আছে। পাপন ভাই খুবই ভালো কাজ করেছেন। তার তৃতীয় দফা চলমান। খুবই ভালো কাজ করেছেন। তার আগে যারা ছিলেন, তারাও ভালো কাজ করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ থাকবে। সামনে আমি আসলে আরও কতোটা ভালো করতে পারি। তবে, আমার জায়গা থেকে ওই আইডিয়া বা অবস্থানটা আছে যা দিয়ে আমি অনেক বেশি কিছু করতে পারব।'
বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে দেওয়া আলোচিত সেই সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ২০২৫ পর্যন্ত খেলেই জাতীয় দলকে বিদায় বলবেন। সেই অবস্থান কি এখনও ধরে আছেন সাকিব?
সময় নিউজকে সাকিব বলেন, '২৫ পর্যন্ত বলে যাওয়ার একটাই কারণ ছিল, আমি তো জানি না চার বছর পর অবস্থাটা কেমন দাঁড়াবে। দুই বছরের আপনি এটলিস্ট একটা প্ল্যান করতে পারেন। আর এ বয়সে এসে এটা আরও কঠিন। বয়সটা ২৫ হলে আপনি অন্তত বলতে পারতেন, আমি আর ৪ বছর খেলব বা ৮ বছর খেলব। কিন্তু আপনার যখন ৩৬ বা ৩৭-৩৮, তখন আসলে অনেক বড় প্ল্যান করাটা কঠিন। সে কারণেই আসলে দুই বছরের প্ল্যান করা।'
সাকিব আরও বলেন, 'যদি ফিটনেস ভালো থাকে, পারফরম্যান্স ভালো থাকে, অবশ্যই আরও কন্টিনিউ করব। আর এগুলো যদি ভালো না থাকে তাহলে দলই আর আমাকে রাখবে না।'
Copyright © 2024 . All rights reserved.