আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
কয়েক সপ্তাহ ধরে ভূমিকম্পের কর্মকাণ্ড চলছিল। এরপরই শুরু হয় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত। এ ঘটনা ঘটেছে আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে রিকজানেস উপদ্বীপে। এর আগেই সেখানকার গ্রিনডাভিক শহর থেকে প্রায় ৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। খবর বিবিসি’র।
আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, স্থানীয় রাত ১০টা ১৭ মিনিটে শহরটির উত্তরে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ২০১০ সালের মতো এত বড় হবে না। ওই বছর অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ইউরোপিয়ান এয়ার ট্রাভেল বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।
গত অক্টোবরের শেষদিক থেকে আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিকের আশপাশের অঞ্চলে ভূমিকম্পের কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পায়। আবহাওয়া অফিস জানায়, গ্রিনডাভিকের প্রায় ৪ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অগ্ন্যুৎপাত হয়। সিসমিক অ্যাক্টিভি শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, এক ঝাঁক ভূমিকম্পের এক ঘণ্টা পর অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে। রাজধানী রিকজাভিক থেকেও অগ্ন্যুৎপাত দেখা যাচ্ছিল। গ্রিনডাভিক শহরটি রিকজাভিক থেকে প্রায় ৪২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ওই শহরের দিকের অর্ধেক আকাশ ‘লাল আলোয় আলোকিত’ হয়ে ওঠে। এসময় আকাশে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। মানুষজনকে ওই এলাকা থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করে দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস বলছে, আগ্নেয়গিরিতে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার ফাটল হয়েছে। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০০-২০০ কিউবিক মিটার লাভা উদগিরিত হচ্ছে।
Leave a Reply