স্পোর্টস ডেস্ক :
সবশেষ ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। এরপর ২০১৯ সালে শেষবারের মতো ব্যক্তিগত ৫০ রানের দেখা পেয়েছিলেন এই ওপেনার। এবার নেলসন রাঙালেন টাইগার এই ক্রিকেটার।
১৫১ বলে ২২ চার ও দুই ছক্কায় নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন সৌম্য; যা দেশের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। তবে সৌম্যর এমন কীর্তির দিনেও ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে লাল-সবুজেরা। দল হারলেও ম্যাচসেরার খেতাব পেয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সৌম্যর ভাষ্য, সেঞ্চুরি করতে পারায় খুশি। কিন্তু দল না জেতায় হতাশ। যদি জিততে পারতাম, তাহলে এটা অনেক বেশি স্পেশাল হতো। পাওয়ার প্লেতে যদি আমরা তিন উইকেট না হারাতাম, তাহলে ভিন্ন হতো। আমরা মাঝে জুটি পেয়েছিলাম, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মিরাজ-মুশফিকের উইকেট হারিয়েছি। যদি তা না হতো, তাহলে বড় পুঁজি হতে পারত।
সৌম্য জানান, আমি অনেকদিন পর দলে এলাম, আমরা নেটে কঠোর পরিশ্রম করছি। খুব বেশি চিন্তা করিনি। শুধু বল দেখেছি আর নিজের খেলাটা খেলেছি।
এদিকে কিউইদের বিপক্ষে সৌম্যর স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া নিয়েই একপ্রকার বিস্ময় ছিল। কোনো প্রকার পারফর্ম দেখানো ছাড়াই জাতীয় দলে তার জায়গা পাওয়া নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনার তৈরি হয়।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর ফিরলেও প্রথম ওয়ানডেতেই ব্যর্থ হন তিনি। সেদিন ডাক (৪ বলে ০) খেয়ে তার দলে ফেরাটাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল।
দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে নেলসনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সৌম্যকে নিয়ে মন্তব্য, আমি জানি না সৌম্যর সমস্যা কি। ও ঘরোয়াতে রান করছিল। আর আমাদের একজনকে দরকার ছিল যে বোলিং ব্যাটিং দুটোই করতে পারে, যেহেতু সাকিব নেই। সাকিব ১৭ বছর ধরে খেলছে। আমরা সাকিবের মতো কাউকে খুঁজছি। এজন্যই সৌম্যের একাদশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।