স্পোর্টস ডেস্ক :
সাকিব আল হাসানরা যা পারেননি, সেটি পেরেছেন মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা। এশিয়া কাপে সাকিব, মুশফিকদের হৃদয় ভাঙ্গা কষ্টের সে ছবি এখনও হৃদয়ে নাড়া দেয় সমর্থকদের। তিনবার ফাইনালে উঠে একবারও শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। হৃদয় ভেঙ্গেছে বারবার। তবে আক্ষেপ মিটিয়েছে ছোটরা।
শিয়া কাপের ফাইনালে উঠেও শিরোপা না পাওয়া বাংলাদেশের ব্যর্থতার গল্পের শুরু ২০১২ সালে শুরু হয়। ২২ মার্চ মিরপুরে সেই ফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে হাফিজ, উমর আকমল, সরফরাজদের রানে চড়ে পাকিস্তান করে ৯ উইকেটে ২৩৬ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাকিবের ৬৮, মাশরাফীর ১৮ ও নাসিরের ২৮ রানও পারেনি দলকে জেতাতে। ২ রানে কপাল পোড়ে বাংলাদেশের।
২০১৬ সালে আবারও স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। এবারও ভেন্যু সেই মিরপুর। প্রতিপক্ষ পরিবর্তন হলেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি টাইগারদের। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে সাব্বির, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্যদের ব্যাটে ৫ উইকেটে ১২০ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে শিখর ধাওয়ানের ৬০ রানের পর কোহলির ৪১ রানে হেসেখলেই টাইগারদের হারের তিক্ততা দেয় টিম ইন্ডিয়া।
দুবছর পর দুবাইয়ে তৃতীয়বারের মত এশিয়া জয়ের স্বপ্নের মঞ্চে ওঠে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ সেই ভারত। লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে ২২২ রান করে বাংলাদেশ। রোহিতের ৪৮, মাহেন্দ্র সিং ধোনির দাপুটে ব্যাটিংয়ে শেষ বলে নাটকীয় জয় পায় ভারত। তীরে এসেও তরি ডোবে লাল-সবুজের।
সবশেষ যেখান থেকে হয়েছিল হৃদয়ে রক্তক্ষরণ, সেখান থেকেই এসেছে ইতিহাস গড়ার আনন্দ। দুবাইয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ যুব এশিয়া কাপে এবার শুরু থেকেই দাপুটে পারফর্ম করেন মাহফুজ-শিবলিরা। শেষ পর্যন্ত ফাইনালেও সে যাত্রা অব্যাহত রাখেন যুবারা। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে উড়িয়ে ঘরে তোলে আরাধ্য এশিয়া কাপ।
২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের পর এশিয়া কাপের অধরা শিরোপাও এলো যুব টাইগারদের হাত ধরেই। তবে ভক্তদের মনে প্রশ্ন ঘুরে বেড়ায়, ছোটদের হাত ধরে ট্রফি এলেও বড়দের হাত ধরে কবে আসবে?
Leave a Reply