আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালিয়ে ইসরাইল এ পর্যন্ত কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না এমন মন্তব্য করে হামাসের লেবানন প্রতিনিধি ওসামা হামদান বলেছেন, গাজায় ইসরাইলের কৌশলগত পরাজয় হয়েছে।
রোববার রাতে বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খবর পার্সটুডে ও আল-মায়াদিনের।
হামদান জানান, ইসরাইল ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে এবং ২৭ অক্টোবর এই উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু করে, যা এখনও চলছে। হামাসকে নির্মূল করে ইসরাইলি বন্দিদের মুক্ত করে নেয়াকে চলমান গাজা যুদ্ধের প্রধান দু’টি লক্ষ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে তেল আবিব।
ইসরাইলের পক্ষে যে তিন নেতা এই লক্ষ্যের কথা বারবার বলছেন তারা হলেন- ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং তার যুদ্ধ মন্ত্রিসভার অপর দুই সদস্য বেনি গান্তজ এবং ইয়োয়াভ গ্যালান্ট।
হামদান বলেন, এই তিন ব্যক্তি ‘পরাজিত যুদ্ধত্রয়ী’। গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে তারা কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি এবং সামনের দিনগুলোতেও পারবে না।
ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর হাতে আটক বন্দিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়ে নেতানিয়াহু গাজায় কৌশলগত পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে উল্লেখ করে হামাসের পলিটব্যুরোর এ সদস্য বলেন, যদি নাৎসিবাদী ইসরাইলি তার আটক সেনাদের জীবিত ফিরে পেতে চায় তাহলে তাকে আগ্রাসন সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে এবং এরপর আমাদের ঘোষিত শর্তে আলোচনায় বসতে হবে।
এসময় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ‘যুগের হিটলার’ উল্লেখ করে হামদান বলেন, গাজায় ঢুকলে টুকরো টুকরো হয়ে ফিরে যেতে হবে। এটা জানার পরও নেতানিয়াহু তার সেনাদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
এর আগে অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। ৭০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
এই গণহত্যা ও বর্বরতা গোটা বিশ্বের সামনে ঘটছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ ইউরোপীয় দেশগুলো তাতে সমর্থন যোগাচ্ছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানান হামদান।