স্পোর্টস ডেস্ক :
বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে স্বপ্ন জয়ের শুরু ২০২০ সালে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পরে ২০২৩ সালে এসে ধরা দিল এশিয়া কাপের ট্রফি। বর্তমানের এই দলকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন নীতি নির্ধারকরা।
২০২০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা যুক্ত হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে। তবে পরের আসরে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দীর্ঘদিন পরে আবারও ট্র্যাকে ফিরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আরেকটা বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে বর্তমান দলটি। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া রাব্বি-শিবলি-আরিফুলদের নিয়ে আরও এগিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বিসিবি।
বিসিবি গেইম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই সফলতাটা দরকার ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে এই দলটি সফল হচ্ছিল না। অবশেষে সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। আশা করছি বিশ্বকাপে আমরা সফল হবো।’
দীর্ঘদিন ধরে বিসিবির গেইম ডেভেলপমেন্টের দায়িত্বে খালেদ মাহমুদ সুজন। ক্রিকেট অপারেশন্সসহ বিভিন্ন কমিটি নিয়ে যেখানে সমালোচনার শেষ নেই, সেখানে ৩ বছরের ব্যবধানে গেইম ডেভেলপমেন্টের অর্জন ২ শিরোপা।
দেশের ক্রিকেটের একটা প্রজন্ম ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে। সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের বিদায় বেলায় ইয়াং টাইগারদের এমন পারফরম্যান্স আশাবাদী করছে সবাইকে।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যানেজার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই দলটি খুবই মেধাবী। এরা ভালো একটা অবস্থার মধ্যে আছে। এটি ওদের জন্য বড় অর্জন। আশা করি, এই প্রচেষ্টা ধরে রেখে সামনের বিশ্বকাপে ভালো করবে। এছাড়া ভবিষ্যতে এরাই বড় বড় তারকা ক্রিকেটার হবে।
তবে এশিয়া কাপ জয়ের উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়ার সুযোগ নেই। সামনের মাসেই যুব বিশ্বকাপ। ১৯ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হবে আসরটি। প্রোটিয়াদের মাটিতেই ৩ বছর আগে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল যুবারা। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পর আবারও লাকি কান্ট্রিতে বিশ্বসেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
Leave a Reply