স্পোর্টস ডেস্ক:
ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং-তিন ডিপার্টমেন্টেই বাংলাদেশের ভরাডুবি। যার খেসারত প্রথম ওয়ানডেতে হারের মধ্য দিয়ে দিতে হলো বাংলাদেশকে। ডানেডিনে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪৪ রানে হেরেছে টাইগাররা। ৩০ ওভারে ২৪৫ রানের লক্ষ্যে নামা শান্তরা শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে তুলতে পারে ৯ উইকেটে ২০০ রান।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, ডানেডিনে হারের বৃত্ত ভাঙতে পারলো না টাইগার বাহিনী। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে, সৌম্যদের খরুচে বোলিং, মিস ফিল্ডিং সাথে শান্ত লিটনদের নড়বড়ে ব্যাটিং-তিন ডিপার্টমেন্টেই বাংলাদেশের দুর্দশা। তবে কি বৃষ্টিতেই দিক হারালো টাইগাররা?
ম্যাচের শুরুটা কিন্তু ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। ইউনিভার্সিটি ওভালে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই শরিফুলের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে রাচিন রবিন্দ্র আর হেনরি নিকোলসের আয়ু শেষ।
ম্যাচের রেজাল্টটা ভিন্ন হলেও হতে পারতো, যদি দশম ওভারে লাথামের ক্যাচ সৌম্য না ফেলতো।
আপস এন্ড ডাউন্সের মাঝেই ডানেডিনে থেমে থেমে বৃষ্টি, ৩০ ওভারে নেমে যাওয়া ম্যাচে লাথামকে নিয়ে উইল ইয়ংয়ে দারুণ জুটি।
১৭১ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন মিরাজ, ১৮ রানে লাইফ পাওয়া লাথামের ব্যাটে আসে ৯২ রান।
লাথাম ফিরলেও ইয়ং ঠিক সেট করে দেন ম্যাচের অবয়ব। ৮৪ বলে ১০৫ রানে থামে তার ব্যাটিং তাণ্ডব।
৩০ ওভারে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৩৯। ডিএল মেথডে টাইগারদের টার্গেট দাঁড়ায় ২৪৫।
বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়েও সৌম্য ফ্লপ। রানের খাতা খোলার আগেই ধরেন ড্রেসিংরুমের পথ। শান্তও ছিলেন ব্যর্থ। ১৫ রানে সোদির বলে বোল্ড বাংলার অধিনায়ক।
ক্লার্কসনের বলে বিজয়ও ডিসমিস। তবে তার আগে খেলেন ৩৯ বলে ৪৩ রানের ইনিংস।
আসা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন লিটন-মুশফিক। ওডের আউটেই বাংলাদেশ হারায় দিক। হৃদয়ের ৩৩ আর আফিফের ৩৮ রান -এ দু'জনের ব্যাটে কমে হারের ব্যবধান।
নির্ধারিত ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২০০। ৪৪ রানে প্রথম ম্যাচ টাইগারদের হাতছাড়া হলো।